সুনীত হালদার: ফের হাওড়া পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গিতে মৃত্যু। এই নিয়ে ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২। আজ সকালে নারায়ানা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অক্ষয় মজুমদার (৩৭) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়। ওই রোগীর ডেথ সার্টিফিকেটে  মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গি জ্বরের এবং রক্তক্ষরণের উল্লেখ আছে। পারিবারিক সূত্রে খবর জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওই রোগী। পরে তাঁকে নারায়ানা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত কয়েকদিন চিকিৎসা চললেও তাঁর রক্তের প্লেটলেট হু হু করে কমতে থাকে। পরে অবস্থার অবনতি হলে আজ সকালে তিনি মারা যান। হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন গত কয়েক সপ্তাহে ডেঙ্গি কেসের সংখ্যা বেড়েছে। তবে ওই রোগীর  কোমরবিডিটি ছিল কিনা তা দেখা হবে। ডেঙ্গি রুখতে শীঘ্রই চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের  বৈঠক ডাকা হয়েছে। এর পাশাপাশি বাসিন্দাদের সতর্ক করতে প্রচার চালানো হবে।


কড়া হচ্ছে প্রশাসন 


রাজ্যে ফিরেছে ডেঙ্গি আতঙ্ক। ডেঙ্গি প্রতিরোধে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বার্তার পরেই সতর্কবার্তা মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীর। রাজ্যে ফের ফিরে এসেছে ডেঙ্গি আতঙ্ক। ইতিমধ্যে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা থেকে ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর মিলেছে। এরইমধ্যে ডেঙ্গি প্রতিরোধে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সেই বার্তার পরেই পথে নামল বিধাননগর পুরনিগম। বিধাননগর পুরনিগমের অর্জুনপুর, দেশবন্ধু নগরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ডেঙ্গি সচেতনতা যাত্রা করা হয় বিধাননগর পুরনিগমের তরফে। সচেতনতা যাত্রায় বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী সহ মেয়র পরিষদ দেবরাজ চক্রবর্তী ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা পা মেলান।


উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিনে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা পরেই ময়দানে নামে বিধাননগর পুরনিগম। এদিন মশারি টাঙিয়ে ডেঙ্গি বিরোধী বিভিন্ন প্লাকার্ড নিয়ে ও ডেঙ্গি থেকে কী করে রক্ষা পাওয়া যায় সেই সমস্ত বার্তা নিয়ে। বিধাননগর পুরনিগমের এই অভিযান নিয়ে মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, তাঁরা সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই পদযাত্রা করছেন। মানুষকে সচেতন হতে হবে।


উল্লেখ্য, শহরে ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। কালীঘাটে এক বালকের ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে।  জ্বর হওয়ায় তাকে ভর্তি করা হয়েছিল এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেই বেসরকারি হাসপাতালেই মৃত্যু হয় বিশাখ মুখোপাধ্যায় নামে ওই বালকের।