বাঁকুড়া: গোটা রাজ্য়ের মতোই বাঁকুড়াতেও বাড়ছে ডেঙ্গি সংক্রমণ। বাঁকুড়া শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৫০ ছাড়িয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে বাঁকুড়া পুরসভাকে। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন সংক্রমণ ছড়ালেও এবারের ডেঙ্গি ততটা ভয়ঙ্কর নয়।


প্রসঙ্গত, ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে জেলায় জেলায়। সেই সঙ্গে বাড়ছে ম্যালেরিয়াও। ডেঙ্গিতে সবার উপরে আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। তবে এখানেই শেষ নয়, হাওড়া জেলাতেও বাড়ছে ডেঙ্গি ম্যালেরিয়ারসংখ্যা। হাওড়া জেলা হাসপাতালে জ্বর ও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন অনেকে। হাওড়া পুরসভা সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত ৫০টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৫০০।চলতি বছরে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত হাওড়া শহরে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৮ জন। এই পরিস্থিতিতে রাতে অবশ্যই মশারি লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। সতর্কতামূলক প্রচার চালাচ্ছে প্রশাসনও। 


বিশেষ করে জমা জলেই ডেঙ্গির মশার আঁতুরঘর। তাই কোথাও জল জমতে দেওয়া যাবে না। ছাদ থেকে শুরু করে ঘরের আনাচে কানাচে, নর্দমা, বাড়ির চারিধার পরিষ্কার রাখতে নির্দেশ। তবে ঘরে মশারি টানানোর কথা প্রতিবারই এসময় মনে করিয়ে দেয় স্বাস্থ্য দফতর। এনিয়ে রাজপথে মশারি সহ নেমে সচেতনা অভিযান করতে দেখা গিয়েছে পুরসভাগুলিকে। বাইশ সালে পুজোর আগে এবং পরে পড়ে থাকা বাঁশের ফাঁক ফোকরেও জল জমেও আতঙ্ক তৈরি করেছিল। যা মূলত ডেঙ্গির মশার বংশবৃদ্ধির জন্য উত্তম জায়গা। চলতি বছরেও ফিরল সেই আতঙ্ক।এই পরিস্থিতিতে খেয়াল রাখতেহবে যে, আপনার শরীর কেমন আছে। কী কী উপস্বর্গ দেখা দিয়েছে ? যদি ডেঙ্গির উপস্বর্গের কোনও বহিঃপ্রকাশ পান, তাহলে দেরি না করে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অবশ্যই গিয়ে যোগাযোগ করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডেঙ্গি টেস্ট করান। মনে রাখবেন রোগ যতদ্রুত ধরা পড়বে, আপনার সুস্থ হয়ে ওঠার প্রবণতাও তত বাড়বে।


আরও পড়ুন, বাইক সফরে গিয়ে বিপাকে, চাপড়ায় পুলিশের জালে হাতকাটা মাসুদ-সহ ৬


পশ্চিমবঙ্গে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি  যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক ছাত্র ও উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার এক গৃহবধূ প্রাণ হারিয়েছেন। পাশপাশি, কলকাতায় সরকারি হাসপাতালেও ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার ছড়াছড়ি ।কর্মী আবাসন থেকে ডাক্তারি পড়ুয়াদের হস্টেল, ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। শুক্রবার ভোরে দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা এক চিকিৎসকেরও মৃত্যু হয়। পরিবার সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। বাড়িতেই চলছিল চিকিৎসা। আচমকা প্লেটলেটের পরিমাণ কমে যাওয়ায় মিন্টো পার্কের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চারদিন চিকিৎসা চলার পর মৃত্যু হয় ওই চিকিৎসকের। কিডনি প্রতিস্থাপনের কারণে তাঁর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা কম ছিল বলে মতামত চিকিৎসকদের।