অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: দেবের (Dev) মুখে সৌজন্য-বার্তা। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, রাজনীতির (Politics) সঙ্গে অভিনয়ের কোনও যোগ নেই। কুকথা নয়, কাউকে ছোট করে নয়, বরং রাজনীতি হওয়া উচিত সৌজন্যের। ব্যক্তিগত আক্রমণ না করে রাজনীতির বার্তা দিলেন তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) তথা অভিনেতা দেব।
দেবের মুখে সৌজন্য-বার্তা: এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এদিন দেব বলেন, “আমার আগের ছবিতেও যিনি আমার মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, তিনিও বিজেপির সক্রিয় কর্মী। প্রথম দিন থেকেই আমার কাছে খুব পরিষ্কার, সিনেমা এবং রাজনীতি আলাদা। আমার ছবির জন্য ভাল অভিনেতা প্রয়োজন। তিনি রাজনীতিতে যুক্ত কি না, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। যেমন প্রজাপতি-তে মিঠুনদা অভিনয় করেছেন।’’ সৌজন্যের রাজনীতি কেমন হওয়া উচিত, তারও বার্তা দিলেন অভিনেতা। তৃণমূল সাংসদের কথায়, “২০১৪ সালে প্রার্থী হওয়ার পর সিপিএম প্রার্থীর কাছে আশীর্বাদ চেয়েছি। এমন কোনও পর্যায় কথা বলি না, যেখানে বিরোধী দল বা প্রার্থীকে ছোট করিনা। নিজেকে বড় করতে গেলে অন্যক ছোট করতে হয় না। জিততে গেলে কুকথা বলতে হবে এমন কোনও মানে নেই। কাউকে ছোট না করে, কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ না করে রাজনীতি করা উচিত। কারোর যদি শরীর খারাপ হয়, তাহলে দেখতে যাওয়া যাবে না! ব্যক্তিগত আক্রমণ এমন পর্যায় না নিয়ে যাওয়াই উচিত।’’ গঙ্গারতি প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, “বারণসী, কলকাতা দুটোই দেশের অঙ্গ। বিরোধী দলের সরকার রয়েছে, সেখান থেকে যদি ভাল কিছু শেখা যায়, তাহলে সমালোচনা না করে, সাধুবাদ জানানো উচিত।’’
প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষের দিক থেকে একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েই চলেছেন টলিউড অভিনেতা দেব। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে দেব (Dev) ও মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) অভিনীত 'প্রজাপতি'-র (Projapoti) শ্যুটিং। কলকাতা ও বারাণসী জুড়ে এই ছবির শ্যুটিং হয়েছে। রাজনৈতিকভাবে দুটি বিরোধী দলের প্রতিনিধিত্ব করেন দেব ও মিঠুন । কিন্তু শ্যুটিং ফ্লোরে সবটাই রঙহীন। কেবলমাত্র বিনোদনের জন্য একসঙ্গে পর্দায় আসছেন দেব ও মিঠুন । এর আগেও দেব একাধিকবার জানিয়েছেন, শ্যুটিং ফ্লোরে কখনও রাজনীতি নিয়ে কথা হয় না সহ শিল্পীদের সঙ্গে। সেখানে সবাই কেবল শিল্পী।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: পৌষ মেলার জন্য মাঠ দিতে নারাজ বিশ্বভারতী, হলফনামা পেশের নির্দেশ আদালতের