কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : ডিএলএডের (DLED) পরীক্ষা শুরুর আগে প্রশ্নপত্রের প্রতিলিপি বাইরে বেরিয়ে আসার জের। পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে থানা থেকে তালাবন্দি ট্রাঙ্কে এল প্রশ্নপত্র। শিক্ষক ও পরীক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন (Prohibition on Mobile Phone) নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শিক্ষকদের মোবাইল ফোন জমা রাখতে হচ্ছে অফিসে। কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে আয়োজিত হল পরীক্ষা।
প্রথম দিনে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ
নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে ইতিমধ্যেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এরইমধ্যে D.EL.ED’র প্রশ্ন ফাঁসের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের আশ্বাস দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
প্রাথমিকে শিক্ষকতার জন্য D.EL.ED থাকা বাধ্যতামূলক। সোমবার থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা। আর সেখানেই, বজ্র আঁটুনির মধ্যেই, প্রথম দিনেই ফস্কা গেরোর অভিযোগ উঠেছিল প্রথম দিনের পরীক্ষায়।
সোমবার ৬০টি পরীক্ষাকেন্দ্রে দুপুর ১২টায় একই সঙ্গে শুরু হয় পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪৬ হাজার। অভিযোগ পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্নপত্রের কিছু অংশের প্রতিলিপি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার আগেই, সকাল পৌঁনে এগারোটা থেকেই প্রশ্নপত্রের প্রতিলিপির অংশ হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরতে শুরু করে।
প্রশ্নের মুখে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে দাবি, পরীক্ষা শেষের পর দেখা যায়, প্রশ্নপত্রের যে অংশ ভাইরাল হয়েছে, তার সঙ্গে আসল প্রশ্নের হুবহু মিল রয়েছে। তাহলে কি D.EL.ED’র চূড়ান্ত বর্ষের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে? যে প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেছেন, 'সবাই প্রশ্ন জেনে পরীক্ষা দিয়েছে এই যুক্তি ঠিক নয়। আমরা তদন্ত কমিটি গড়ছি। এটা ফাঁস নয় ষড়যন্ত্র। পরীক্ষার সঙ্গে যুক্তরাই এই অনৈতিক কাজ করেছে সরকার ও বোর্ডকে ম্যালাইন করার জন্য।'
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা অভিযোগে জর্জরিত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আর তারইমধ্যে D.EL.ED’এর প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ। আরও একবার প্রশ্নের মুখে পর্ষদের ভূমিকা। যে ঘটনার পর দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষায় দেখা গেল আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI