কলকাতা: 'টলিউডের (tollywood) ৯৯ শতাংশ প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতা দুর্নীতিগ্রস্ত', তৃণমূলে দুর্নীতির ইস্যুতে হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের (Hiran Chatterjee) নিশানায় নাম আনেন দেব (Dev), বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta) ও সায়নী ঘোষের (Sayani Ghosh)। এবার তাঁর অভিযোগের জবাব দিলেন দেব।


হিরণকে দেবের জবাব


এবার অভিনেতা দেবের নিশানায় হিরণ চট্টোপাধ্যায়। 'তথ্য প্রমাণ থাকলে সিবিআই, ইডির কাছে যান। গোয়েন্দাদের কাছে এত তথ্য নেই, যা হিরণের কাছে আছে'। বিজেপি নেতা হিরণের অভিযোগের জবাব তৃণমূল সাংসদ দেবের।


এক অনুষ্ঠানে এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে এবিপি আনন্দকে তারকা সাংসদ দেব বলেন, 'হিরণ বা অন্য কেউ কী বলছে সেটা সত্যিই আমার কাছে ম্যাটার করে না। আমার মনে হয় যে এক কথা কেন দশবার করে বলতে যাব। প্রথম দিন যখন প্রশ্ন করেছিলেন, তখনই উত্তর দিয়ে দিয়েছি। বারবার এক প্রশ্ন করলে একই উত্তর থাকবে।' এছাড়াও তিনি বলেন, 'যদি আপনার কাছে প্রমাণ থাকে তাহলে দয়া করে আপনি সিবিআই, ইডি-র কাছে যান। তাদের কাছে হয়তো অতটা তথ্য নেই যতটা হিরণের কাছে আছে। ছোট ইন্ডাস্ট্রি, এখানে কী বলব? কোনওদিন অন্য কাউকে ছোট করে নিজেকে বড় করায় বিশ্বাস করি না। হিরণ ভাল ছেলে, আমার মনে বাকস্বাধীনতা সকলের আছে। এই দেশে এই রাজ্যে যে যা খুশি বলতে পারে। আমাকে নিয়ে বললেও আমার কিছু যায় আসে না।'


 



প্রসঙ্গত, বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা হিরণ অভিযোগ করেন, 'গরুপাচারকাণ্ডে ধৃত এনামুল হকের টাকায় সিনেমা তৈরি করেন দেব'। হিরণের সেই দাবিকে খণ্ডন করেই পাল্টা তথ্য প্রমাণ দেওয়ার চ্যালেঞ্জ করলেন দেব। 


আরও পড়ুন: Shibpur: 'আভাস থাকলে যথেষ্ট পুলিশ কেন ছিল না, সচেতন না হলে কঠোর পদক্ষেপ', মমতাকে অনুরাগের হুঁশিয়ারি


গত ২৬ মার্চ হিরণ বলেন, 'ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী দুর্নীতিতে জড়িত।  ৫ কোটি টাকা এনামুলের থেকে নিয়েছেন। বনি সেনগুপ্তর মতো একটা বাচ্চা ছেলে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। আদালতে বিচারক পর্যন্ত বলছেন, একটার পর একটা ফ্ল্যাট বানিয়েছেন সায়নী ঘোষ। মানুষ বুঝেছেন তৃণমূল মানে চোর। টলিউডের ৯৯ শতাংশ প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে চোরেদের সঙ্গে জড়িত।' এর আগেও দেবকে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। চলতি বছরই তিনি বলেন, 'ইডিতে লুকিয়ে লুকিয়ে গেছিলেন। সিবিআইতে গেলেন। লিফটে করে উঠছেন, ঢুকছেন। তারপর তো দেখলাম খবর। গোপন সূত্রে খবর পেলাম, ৫ কোটি টাকা উনি ওঁর অ্যাকাউন্টে নিয়েছেন। যদি এটা সত্যি হয়, তাহলে হয়ত মিঠুনদাকে টাকা ফেরত দিতে হতে পারে। যদি সত্যি না হয়, তাহলে আমি দাঁড়াব ওঁর পাশে। দেব সাংবাদিক বৈঠক করে বলুক।'