হিন্দোল দে, কলকাতা: ভরদুপুরে ফের বিধ্বংসী আগুন শহরে। দমদমের নাগেরবাজারে বহুতলে বিধ্বংসী আগুন (Nagerbazar Fire)। নাগেরবাজারে ডায়মন্ড সিটির ১৬ তলায় আগুন ধরেছে। দুপুর ৩টে নাগাদ আগুন লাগে নাগেরবাজারের ওই বহুতলে। সেখান থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায় গলগল করে। অগ্নিকাণ্ডের পর এক ঘণ্টা কাটতে চললেও, আগুন নেভানো যায়নি। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকল বাহিনী। কিন্তু অত উপরে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনা হবে কী করে, তা নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয় (Kolkata News)। তবে শেষ মেশ আগুন নেভানো সম্ভব হয়।


দুপুর ৩টে নাগাদ আগুন লাগে নাগেরবাজারের ওই বহুতলে


স্থানীয়রা জানিয়েছে, দুপুর ৩টে নাগাদ এই আগুন লাগে। নাগেরবাজার মোড়ের কাছেই অবস্থিত ডায়মন্ড সিটি বহুতল। তার ৩২ নম্বর টাওয়ারে, তার ১৬ তলার ফ্ল্যাটে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা ফ্ল্যাটে। ধোঁয়ায় ভরে যায় চারপাশ। সেখানে উঠে আগুন কী ভাবে নেভানো সম্ভব, তা নিয়ে পরিকল্পনা চলে বেশ কিছু ক্ষণ। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। বহুতলের বাসিন্দারা আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে আসেম। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দমকলের একটি ইঞ্জিন পৌঁছয়। আগুনের উৎসস্থল পর্যন্ত পৌঁছনোর চেষ্টা চালান দমকলের কর্মীরা। পরে দমকলের ১২টি ইঞ্জিন পৌঁছয়। 


আরও পড়ুন: Adenovirus : অ্যাডিনো আতঙ্কের মধ্যেই বর্ধমানে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ২ শিশুর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক, কী সমাধান?


আগুন কিন্তু এক ঘণ্টা পরও নেভানো যায়নি। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল চারিদিক। স্বভাবতই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বহুতলের বাসিন্দারা সকলে নিচে নেমে আসেন। তাঁদের সঙ্গেও কথা বলছেন দমকলের কর্মীরা। কিন্তু কী থেকে আগুন লেগেছে, দুপুর পর্যন্ত তা স্পষ্ট হয়নি। ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণ করে আগুন। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খান দমকলের কর্মীরা।


তবে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর দমকলের ১২টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। শর্ট সার্কিট থেকেই এই ঘটনা বলে অনুমান দমকলের। আগামীকাল নমুনা সংগ্রহ করবে ফরেন্সিক দল। আগুনে বহুতলে আটকে পড়েছিলেন ন'জন বাসিন্দা। তাঁদের নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।


বাসিন্দাদের অনেকের অভিযোগ, উপযুক্ত অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নেই বহুতলে। ঘটনার খবর পেয়ে পৌঁছন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। হতাহতের কোনও খবর না থাকলেও পুড়ে গিয়েছে প্রচুর আসবাব।