শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা: রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে (DGP Rajeev Kumar) তলব করল সংসদের স্বাধিকার রক্ষা কমিটি (Parliamentary Privilege Committee)। সূত্রের খবর, অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ  সুকান্ত মজুমদার। তার পরই রাজীব কুমার-সহ ৩ পুলিশ অফিসারকে তলব করল সংসদীয় কমিটি। সন্দেশখালি যেতে বসিরহাট-টাকিতে সুকান্তকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এতেই শেষ নয়। অসুস্থ হওয়ার পরেও হাসপাতালে পৌঁছতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। 


কী হল?
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি সংসদের স্বাধিকার রক্ষা কমিটির সামনে তলব করা হয়েছে রাজীব কুমার-সহ তিন উচ্চপদস্থ আইপিএস অফিসারকে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাজ্য় বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বসিরহাটের এসপি অফিস ঘেরাও অভিযান হয়। ওই দিন, রাতেই, তাঁকে আটক করা হয় বলে অভিযোগ। এখানে শেষ নয়। গত কাল অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি তাঁকে টাকির একটি হোটেলেও আটকে রাখা হয়েছিল বলে খবর। রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে সন্দেশখালি যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ধস্তাধস্তি ও তার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন বালুরঘাটের সাংসদ। বিষয়টি নিয়ে আজ সুকান্তর তরফে লোকসভার অধ্যক্ষ, ওম বিড়লাকে অভিযোগ জানানো হয়। সূত্রের খবর, অধ্যক্ষের তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে সবটি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এর পরই তলবের খবর। রাজীব কুমার ছাড়া বসিরহাটের এসপি, অ্যাডিশনাল এসপি-কেও তলব করা হয়েছে। আগামীকালের মধ্যে তাঁদের যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে সাড়ে ১০টায় তাঁদের রাজধানীতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।


বসিরহাট এসপি অভিযান...
সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদে দিনদুয়েক আগে বিজেপির বসিরহাটের এসপি অফিস অভিযানে তুলকালাম বাধে। এসপি অফিসের সামনে বিজেপি-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়েছিল সে দিন। ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে থাকেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। বিক্ষোভ হঠাতে পাল্টা লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে পুলিশও। রাজ্য বিজেপি সভাপতির অভিযোগ, পুলিশ ইটও ছো়ড়ে। ট্রেনে বসিরহাট পৌঁছে, বাইকে চেপে এসপি অফিস রওনা দিয়েছিলেন সুকান্ত। এদিকে বসিরহাটের এসপি অফিস সংলগ্ন ৫০০ মিটার পর্যন্ত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি ছিল। বসিরহাটের এসপি অফিসের সামনে ব্যারিকেডও ছিল। তার পর এই ঘটনা। একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে এসপি অফিসের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। তাতে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। ড্রোনে নজরদারি শুরু হয়ে যায়। পাশাপাশি, মাইকে করে সুকান্ত মজুমদারের উদ্দেশে বার্তা ছিল, যা বক্তব্য ভিড় সামলানোর দায়িত্বে থাকা পুলিশ অফিসারদের জানান।  ১৪৪ ধারা মেনে চলার অনুরোধ করা হয় পুলিশের তরফে। কিন্তু ধস্তাধস্তি জারি থাকে। এর মধ্যে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দাবি করেন, দলের মহিলা কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ।


আরও পড়ুন:হাজরা মোড়ে বামপন্থী বিশিষ্টদের মিছিল আটকাল পুলিশ