জলপাইগুড়ি: ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে বিজেপি-তৃণমূল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। চতুর্থ রাউন্ড শেষে এগিয়ে গেলেন তৃণমূল প্রার্থী। চতুর্থ রাউন্ড শেষে বিজেপি প্রার্থীর থেকে ৩৬০ ভোটে এগিয়ে নির্মলচন্দ্র রায়। চতুর্থ রাউন্ড শেষে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ৩৯ হাজার ৯৬। বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ৩৮ হাজার ৭৩৬।
৬ রাজ্যের ৭ বিধানসভায় উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা। তার মধ্য়ে অন্য়তম উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র। ২০২১-এর নির্বাচনে, এই কেন্দ্রটি দখল করেছিল বিজেপি। এবার তৃণমূল বনাম বিজেপি বনাম বাম-কংগ্রেসের যৌথ প্রার্থী। উপনির্বাচনে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফল কী হবে? নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গণনাকেন্দ্র, পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে, কাউকে ধারে পাশে ঘেঁষতে দিচ্ছে না।
১৯৭৭-এ যেবার বামফ্রন্ট প্রথম রাজ্যের ক্ষমতায় এল, সেই তখন থেকেই ধূপগুড়ি বিধানসভা ছিল বামেদের দখলে। ২০১৬-তে প্রথমবার বামেদের হারিয়ে এই কেন্দ্রে জয়ী হন তৃণমূলের মিতালি রায়। তবে ২০১৯-এ উত্তরবঙ্গের নির্বাচনী সমীকরণ বদলে দেয় বিজেপি। গেরুয়া ব্রিগেডের দখলেই যায় জলপাইগুড়ি লোকসভা। যার ৭টি বিধানসভার একটি হল ধূপগুড়ি। এই কেন্দ্রে ১৭ হাজার ৭৬৬ ভোটে এগিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়। এর ২ বছর পরে, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলেরই মিতালি রায়কে হারিয়ে ধূপগুড়ি বিধানসভা দখল করেন বিজেপির বিষ্ণুপদ রায়। তবে লোকসভার লিড অনেকটাই কমে যায়। জয়ের ব্যবধান নেমে আসে ৪ হাজার ৩৫৫-তে।
২ বছরের ব্যবধান। বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুতে এবার উপনির্বাচন হল ধূপগুড়িতে। ময়দানে ৩ পক্ষ। এবারের ভোটে মূল ফ্যাক্টর হিসাবে যে যে বিষয়গুলি উঠে এসেছে, তা হল, ধূপগুড়িকে মহকুমায় উন্নীত করার প্রতিশ্রুতির ফল কি পাবে তৃণমূল? চা বাগান এলাকায় নিজস্ব ভোটব্যাঙ্ক অটুট রাখতে পারবে বিজেপি? তৃণমূল ছেড়ে মিতালি রায়ের হঠাৎ বিজেপিতে যোগদানে কার লাভ, কার ক্ষতি হবে? সিপিএম ও কংগ্রেসের জোট কি কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে?
আরও পড়ুন, ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে চতুর্থ রাউন্ড শেষে এগিয়ে TMC প্রার্থী, ত্রিপুরার বক্সনগরে জয়ী বিজেপি
সূত্রের খবর, উপনির্বাচনের গণনায় যাতে পঞ্চায়েত ভোটের মতো অশান্তি না হয়, সেই জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়। উল্টোদিকে, বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার ২টি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা শুক্রবার। তার আগে বিজেপি-র বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্নির্বাচনের দাবি না মানায়,গণনা বয়কটের ডাক দিয়েছে সিপিএম।