উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় ও রুমা পাল, ধূপগুড়ি: পোস্টাল ব্যালটের গণনা শুরু হয়েছে বেশ কিছুক্ষণ। তবে সেখানে কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে সেটা বেশ কিছুক্ষণ স্পষ্ট ছিল না। আপাতত যা জানা গেল, তাতে পোস্টাল ব্যালট গণনায় এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। পিছিয়ে রয়েছেন বিজেপির প্রার্থী তাপসী রায় ও বাম প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র রায়। যদিও তৃণমূল নেতা ও শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব এবিপি আনন্দকে বললেন, '৯টা অঞ্চল আছে, বড় জোন। সেগুলিই গুরুত্বপূর্ণ।' (Dhupguri By Poll Result 2023)
গণনার টুকিটাকি...
২৮টি টেবিলে ৯ রাউন্ড গণনার পর জানা যাবে, কার ঝুলিতে গেল ধূপগুড়ি বিধানসভা। (Dhupguri Vidhan Sabha) আপাতত ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তায় পোস্টাল ব্যালট (postal ballot) গণনা চলছে। শুধুমাত্র অবজার্ভারের কাছে মোবাইল ফোন রয়েছে বলে খবর। গণনার ফল সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার পর ও বাকি সব কিছু খতিয়ে দেখার পরই নির্বাচন কমিশনের সাইটে আপলোড করা হবে। এই উপনির্বাচনে ৭৮.১৯ শতাংশ ভোট পড়েছিল। পাশাপাশি যে নিরাপত্তায় ভোট হয়েছিল, সেটিও মাথায় রাখছে নির্বাচন কমিশন। (election commission) সূত্রের খবর, আগামী বছর লোকসভা ভোটেও এই মডেল অনুসরণ করার চেষ্টা করা হবে। ভোটগণনার জন্য সকাল ৯টা থেকে একেবারে ঘাঁটি গেড়ে বসে রয়েছেন শিলিগুড়ির মেয়র ও তৃণমূল গৌতম দেব। এই উপনির্বাচনকে যে তৃণমূল অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে তা স্পষ্ট। কিন্তু কেন? শিলিগুড়ির মেয়রের কথায়, 'সিরিয়াস হতেই হয়েছে। এটি আমাদের ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার দিকনির্দেশ করবে। ডু অর ডাই সিচুয়েশনে ভোট করতে হয়েছে।' সঙ্গে আরও দাবি, সার্বিক ভাবে উত্তরবঙ্গে শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও স্বচ্ছ ভোটই হয়ে থাকে। আর ফলাফল? বিশদ ব্যাখ্যা করে যেটা বোঝালেন তার অর্থ একটাই। শুধু শহরের দিক নয়, ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের ৯টা অঞ্চল রয়েছে সেগুলিই গুরুত্বপূর্ণ।
আর কী??
এবার ধূপগুড়ির ভোটে মূল ফ্যাক্টর হিসাবে যে যে বিষয়গুলি উঠে এসেছে, তা হল ধূপগুড়িকে মহকুমায় উন্নীত করার প্রতিশ্রুতির ফল কি পাবে তৃণমূল? নাকি চা বাগান এলাকায় নিজস্ব ভোটব্যাঙ্ক অটুট রাখতে পারবে বিজেপি? তৃণমূল ছেড়ে মিতালি রায়ের হঠাৎ বিজেপিতে যোগদানে কার লাভ, কার ক্ষতি হবে? সিপিএম ও কংগ্রেসের জোট কি কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে? সব উত্তর স্পষ্ট হয়ে যাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে। তবে পোস্টাল ব্যালট গণনায় দেখা গেল এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী।
আরও পড়ুন:বর্ধমান, বড়লাট থেকে রাজাধিরাজ, বাংলার বহমান খাদ্য নস্টালজিয়া, মিহিদানা-সীতাভোগ