কলকাতা: রাজ্যের সেরা শান্তিপূর্ণ পুলিশের পুরস্কার পেয়েছ ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ (Diamond Harbour)। সেই নিয়ে তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের সাংসদ তথা সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নির্বাচনী কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার। তাই ওই এলাকার 'রাজত্ব'কে সেরা করে দেখা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু। (Suvendu Adhikari)


রাজ্যের সেরা 'শান্তিপূর্ণ পুলিশ জেলা'র স্বীকৃতি পেয়েছে ডায়মন্ড হারবার, তাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন অভিষেক। পুরস্কারের সার্টিফিকেট প্রকাশ করে তিনি লেখেন, 'চমৎকার এই খবর শেয়ার করতে উৎফুল্ল বোধ করছি। ডায়মন্ড পুলিশ জেলা ২০২২ সালের 'সেরা জেলা'র শিরোপা পেয়েছে। সকলের পরিশ্রম, নিষ্ঠা এবং উদ্যমের পরিচায়ক এই পুরস্কার। যে বা যাঁদের জন্য এটা সম্ভব হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেককে অভিনন্দন'।


ডায়মন্ড হারবারের এই পুরস্কার পাওয়া নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু। সোশ্যাল মিডিয়ায় 'ডায়মন্ড হারবার মডেল' ক্যাপশন দিয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি, যাতে কোথাও পুলিশের সামনে জখম ব্যক্তিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। ঘাড়ের নীচে ক্ষত চোখে পড়ছে, রক্তে ভেজা শরীরও বোঝা যাচ্ছে। তাঁর উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।



আরও পড়ুন: Nonapukur Fire:নোনাপুকুরে বাড়িতে বিধ্বংসী আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৩ ইঞ্জিন


যেমন, কোনওটায় দেখা যাচ্ছে, পুলিশের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক মারাত্মক জখম ব্যক্তি। ঘাড়ের নীচে ভয়ানক ক্ষত। রক্তে ভিজে যাচ্ছে শরীর। অভিযোগ, তাঁকে বীভৎসভাবে মারা হয়েছে। এর পাশাপাশি খুন, সংঘর্ষের দৃশ্যও চোখে পড়ে ভিডিও-য়। ভিডিও-র পাশে ডায়মন্ড হারবারের শান্তিপূর্ণ পুলিশ জেলার স্বীকৃতির শংসাপত্রটিও রয়েছে।



ওই ভিডিও ছবি পোস্ট করে শুভেন্দু লেখেন, 'কারও রাজত্বকে বড় করে তুলে ধরতে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন যা করছে, তাতে বিস্মিত আমি। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলাকে সেরার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। আসলে পুরস্কারের নামটা ছোট করে দেখানো হয়েছে। নাম হওয়া উচিত ছিল, 'অগণতান্ত্রিক ভাবে বিরোধীদের দমন করে রাখার নিরিখে সেরা জেলা' অথবা 'ভোট লুঠ মডেলের নিরিখে সেরা জেলা' বা 'বেআইনি কার্যকলাপের সেরা জেলা'।


সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, "রাজা-রানির রাজত্ব চলছে। তাদের সবথেকে প্রিয় রাজপুত্র তো! ফলে মুখ্যমন্ত্রী যদি পুলিশমন্ত্রী হন, তাই পুলিশের কাজ মুখ্যমন্ত্রীকে খুশি করা। মুখ্যমন্ত্রীকে খুশি করার জন্য ভাইপোকে খুশি করা। ওখাবে এবার কেউ ভোট দিতে পারবে না। গণতন্ত্র থাকবে না। পিটিয়ে লাশ করে দেওয়া হবে।"