আবির দত্ত, কলকাতা: নোনাপুকুরে (Nonapukur Fire) বাড়িতে বিধ্বংসী আগুন। বাড়ির মধ্যে কয়েকজনের আটকে থাকার আশঙ্কা, ঘটনাস্থলে দমকলের ৫ টি ইঞ্জিন। গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন, প্রাথমিক অনুমান দমকলের। ১ ঘম্টা পেরিয়ে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন।


কী ঘটল?
ল্যাডারে করে বাড়ি থেকে ৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও কেউ আটকে কি না, খতিয়ে দেখছে দমকল। প্রাথমিক ভাবে দমকলের অনুমান, গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন লাগে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, রবিবার বিকেলের দিকে আগুন লাগে। বহু পুরনো বাড়ি, সেখানে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগা অস্বাভাবিক নয়, মনে করছেন তাঁরা। উদ্ধার করা ৫ জনের মধ্যে ২ শিশুও রয়েছে বলে খবর।  বাড়িতে আটকে পড়া ৫ জনকে বড় মই লাগিয়ে নামিয়ে না হয়। ভয়াবহ আকার নিয়েছিল আগুন। এখনও বাড়ির ভিতর কয়েকজন আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা। ঘটনাস্থলে পৌঁছলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। আমাদের লোকেরা কাজ করছে, বাকিটা পরে বলছি...এখন ৫টা ইঞ্জিন কাজ করছে। পরে প্রয়োজনে ইঞ্জিনের সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে।' দমকলকর্মীদের চেষ্টা, কোনও মতেই যেন আগুন ছড়িয়ে না পড়ে। শহর কলকাতায় আগুনের ঘটনা নতুন নয়, বিরলও নয়। গত কালই যেমন,  ভবানীপুরে বহুতলে বিধ্বংসী আগুন লাগে।


ভবানীপুরে অগ্নিকাণ্ড...
গত কালের ঘটনায় ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৪টি ইঞ্জিন। অগ্নিকাণ্ডে সঙ্গী-সহ এক ব্যক্তি আটকে পড়েন বহুতলের চার তলায়। পরে দমকলের রুদ্ধশ্বাস অভিযানে উদ্ধার পান তাঁরা। গ্রিল কেটে, ওই ব্যক্তিকে দড়ির সাহায্যে পাশের ছাদে নিয়ে গিয়ে উদ্ধার করা হয়। এদিন সকালেই আবার,হাওড়া ময়দানের কাছে ফাঁসিতলায় একটি চায়ের দোকানে আগুন লাগে। একেই আজ রবিবার, ছুটির দিন। তার উপর শীতের সকালে চায়ের দোকানে আড্ডার মেজাজ।  এমন অঘটনে তীব্র হইচই শুরু হয়ে যায়।প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য,  খদ্দেররা চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন তখন হঠাৎ আগুন ধরে যায়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে দোকানটি। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। তারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও আগুন আয়ত্তে আসেনি। দমকলের খবর দেওয়া হলে একে একে দুটো ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এই মুহূর্তে দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ করছেন। কী কারণে আগুন লেগেছে ? তা এখনও স্পষ্ট নয়।


আরও পড়ুন:সেরা শান্তিপূর্ণ জেলার শিরোপা পেল ডায়মন্ড হারবার, তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দিলন শুভেন্দু