সন্দীপ সমাদ্দার ও হংসরাজ সিংহ, পুরুলিয়া: পুরুলিয়া (Purulia) শহরে ডায়রিয়ার প্রকোপ। মৃত্যু হয়েছে দুজনের। আক্রান্ত ৪০ জনের বেশি। পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৮ জন। বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বাকিরা।


ডায়রিয়ার প্রকোপ: পুরুলিয়া শহরে মারাত্মক আকার নিয়েছে ডায়েরিয়া। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ময়ূরী নন্দী  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। পুরসভার মেডিক্যাল টিম পৌঁছায়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে দূষিত জল পান করেই আক্রান্ত হয়েছেন। স্থানীয়দের দাবি, পুরুলিয়া পুরসভার নলবাহিত পানীয় জলের পাইপ ফুটো দিয়ে নোংরা জল মিশে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।  ঘটনার পরই পুরসভার পক্ষ থেকে জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো হয়েছে ওই এলাকায়। জলের পাইপ মেরামতির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


এদিকে প্রবল গরমে শুরু হয়েছে জলকষ্ট। পানীয় জলের দাবিতে গ্রামের রাস্তায় হাঁড়ি-কলসি রেখে শুরু হয়েছিল দফায় দফায় অবরোধ। এই ঘটনায় পাল্টা তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অবরোধকারীদের ধমক দিয়ে সরানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থল বাঁকুড়ার মেজিয়া ব্লকের অর্ধগ্রাম-এর। অবরোধস্থলে হাজির হয়ে অবরোধকারীদের ধমক চমক দিয়ে হঠানোর চেষ্টা করছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব, এমনটাই অভিযোগ। তখনই তাঁদের ঘেরাও করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষ। 


বাঁকুড়া জেলায় তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই ৪৪ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। প্রবল এই গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে জেলার মানুষের। পাল্লা দিয়ে নামছে ভূগর্ভস্থ জলস্তর। ফলে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে জলসঙ্কট। প্রায় প্রতিদিনই জেলার কোথাও না কোথাও পানীয় জলের দাবিতে অবরোধ বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে। এবার সেই বিক্ষোভ দেখা গেল বাঁকুড়ার মেজিয়া ব্লকের অর্ধগ্রামে। গ্রামের মন্ডলপাড়া, দত্তপাড়া,  গোয়ালা পাড়া-সহ বেশ কয়েকটি পাড়ায় আজ সকাল থেকে দফায় দফায় রাস্তায় হাঁড়ি কলসি রেখে অবরোধ শুরু করেন বাসিন্দারা। স্থানীয়দের দাবি গ্রামের অধিকাংশ নলকূপের জল দূষিত ও পানের অযোগ্য। তীব্র গরমে কুয়োগুলিতেও জলের স্তর নেমে গিয়েছে। নলবাহিত পানীয় জল এখনও গ্রামে পৌঁছয়নি। এই পরিস্থিতিতে গ্রাম জুড়ে শুরু হয়েছে পানীয় জলের তীব্র হাহাকার। এদিকে গ্রামবাসীদের অবরোধ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে অবরোধের জায়গায় পৌঁছে যান তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা। অবরোধকারীদের কার্যত ধমক চমক দিয়ে অবরোধ তুলতে গেলে তৃণমূলের গড় হিসাবে পরিচিত অর্ধগ্রামে এলাকার মানুষের প্রবল বিক্ষোভের মধ্যে পড়তে হয় তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বকে । তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি পানীয় জল সরবরাহের সবরকম চেষ্টা চলছে। আন্দোলনকারীদের  কোনওরকম ধমক দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।


আরও পড়ুন: Saltlake News: সল্টলেকের রাস্তায় বিরাট গর্ত, পুরসভার বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ বিজেপির