আমদাবাদ: গুজরাত দাঙ্গা মামলায় বেকসুর খালাস ৬৯ অভিযুক্ত। গুজরাতের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী মায়া কোডনানি (Maya Kodnani), বজরঙ্গ দলের বাবু বজরঙ্গি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জয়দীপ পটেল-সহ ৬০ জনকে অভিযোগ থেকে মুক্ত করল আমদাবাদের বিশেষ আদালত (Gujarat Riots Case)। আমদাবাদের নরোদা গাঁও মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন এঁরা। সেখানে সংখ্যালঘু মুসলিম পরিবারের একের পর এক বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ছিল তাঁদের বিরুদ্ধে। তাতে অনেকেই প্রাণ হারান (Naroda Gam Case)।
রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারে মন্ত্রী ছিলেন মায়া
২০১৭ সালে এই মামলায় আদালতে সাক্ষী হিসেবে হাজিরা দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। মায়ার পক্ষে সমর্থন জানিয়ে আদালতে হাজিরা দেন শাহ। ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার সময় রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারে মন্ত্রী ছিলেন মায়া। তাঁদের আইনজীবী জানান, ৬৯ জনকেই অভিযোগ থেকে মুক্ত করেছে আদালত। রায়ের প্রতিলিপি হাতে পাওয়ার অপেক্ষা।
এর আগে, নরোদা পাটিয়া দাঙ্গা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন মায়া। সেই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন কমপক্ষে ৯৭ জন মানুষ। সেই মামলায় ২৮ বছরের সাজা হয় মায়ার। পরে গুজরাত হাইকোর্টে জামিন মঞ্জুর হয় মায়ার। নরোদা গাঁও-সহ গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে নয়টি গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তভার ছিল সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিশেষ তদন্তকারী দল। শুনানি করে বিশেষ আদালত। নরোদা গাওঁ মামলায় অভযুক্ত হিসেবে ৮০ জনের নাম উঠে আসে। শুনানি চলাকালীন এর মধ্যে ১৮ জনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: Same Sex Marriage: বিয়ে মানেই কি দুই বিপরীত লিঙ্গের মানুষের মিলন! প্রশ্ন তুললেন খোদ প্রধান বিচারপতি
গোধরা কাণ্ডের পর গুজরাতে যে দাঙ্গা পরিস্থিতি দেখা দেয়, তাতে নরোদা পাটিয়ার ভয়াবহতা নজর কাড়ে গোটা দেশের। অতি দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে বলে দাবি উঠলেও, এত বছর ধরে শামুকের গতিতেই শুনানি, আবেদন, পাল্টা আবেদন চলে আসছে। এই করেই কেটে গিয়েছে দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময়।
মায়া-সহ বাকিদের বেকসুর খালাস করার সিদ্ধান্তে হতাশ মৃতদের পরিবার
তবে মায়া-সহ বাকিদের বেকসুর খালাস করার সিদ্ধান্তে হতাশ মৃতদের পরিবার। এ নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। বিশেষ করে অতি সম্প্রতি বিলকিস বানো ধর্ষণ মামলায় ১১ জনকে সাজার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই ছেড়ে দেওয়ার পর থেকে প্রশ্ন উঠছে। গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের আগে দোষী সাব্যস্তদের ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত, তার পর তাঁদেরই পরিবারের সদস্যদের ভোটের টিকিট দেওয়া, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্যের বিজেপি সরকার।