রঞ্জিত সাউ, বিধাননগর: সল্টলেকের (Saltlake) নেতাজি আইল্যান্ডের রাস্তায় বিরাট গর্ত। প্রতিবাদে সেই গর্তে শুয়ে বিক্ষোভ দেখালেন বিধাননগর দু'নম্বর মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি সঞ্জয় পয়ড়্যা। তৃণমূল (TMC) পরিচালিত বিধাননগর পুরসভার বিরুদ্ধে উদাসীনতা ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন তিনি। অহেতুক রাজনীতি করছে বিজেপি। দ্রুত রাস্তা সংস্কার হবে। প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিধাননগর পুরসভার ডেপুটি মেয়র।
রাস্তায় বিরাট গর্ত: সল্টলেকে পথ সংস্কারের দাবিতে সেই পথের ধারে তৈরি হওয়া গর্তে ঢুকলেন বিজেপি নেতা। শুধু গর্তে ঢোকাই নয়, পুরোদস্তুর শুয়ে পড়লেন। চাঁদিফাটা রোদ্দুর - পিচগলা গরমের মধ্যেই চলল তাঁর পথ-প্রতিবাদ। বিজেপির বিধাননগর ২ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি সঞ্জয় পয়ড়্যা বলেন, “বিধাননগরের মানুষের করের টাকা খরচ হচ্ছে কোথায়? এই রাস্তাঘাটে শুধু চাপলা দিয়ে রাখা।শুধু ওপরে পালিশ। আর নিচে বেহাল অবস্থা। এর জন্য দায়ী কে?’’
সল্টলেকের নেতাজি আইল্যান্ডে এই রাস্তার ধার ঘেঁষে বেশ বড়সড় গর্ত তৈরি হয়েছে। পুলিশ সূত্রেই খবর, দেখতে দেখতে ৩ মাস পেরিয়ে গেছে।কিন্তু, লবণহ্রদের এ পথের দশা সেই তিমিরেই। দুর্ঘটনা রুখতে ব্যারিকেড দিয়ে গর্তটি ঘিরে দিয়েছে প্রশাসন!ব্যস! ওই পর্যন্তই। তারপর আর রাস্তার মেরামতি হয়নি।তাই তৃণমূল পরিচালিত বিধাননগর পুরসভার বিরুদ্ধে আঙুল তুলে সেই গর্তে শুয়ে প্রতিবাদ জানালেন বিধাননগর দু-নম্বর মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি সঞ্জয় পয়ড়্যা। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থায় পড়ে থাকা রাস্তা মেরামত কবে হবে - এই প্রশ্নটা কিন্তু, সল্টলেকের বহু বাসিন্দাই তুলছেন। পুরসভার ডেপুটি মেয়র অনিতা মণ্ডল বলেন, “একটা ধস নেমেছে, অনেকদিন ধরে, লিক আছে, তাড়াতাড়ি সমাধান হচ্ছে না। তাড়াহুড়ো করলে আরও সমস্যা হতে পারে। পুরসভার ক্যাশ ক্রাঞ্চ আছে কাজ হচ্ছে না। সেটা এলেই হয়ে যাবে। বিজেপি যে রাজনীতি করছে, সেটা করে লাভ নেই।’’
সল্টলেকের সুকান্তনগরে চিংড়িঘাটা উড়ালপুলে ধস। আজ সকালে উড়ালপুল থেকে নামার মুখে সেক্টর ফাইভগামী রাস্তায় বড় বড় গর্ত দেখতে পান গাড়ি চালকরা। বড়সড় ধস নামার আশঙ্কায় চিংড়িঘাটা উড়ালপুলে ধীরগতিতে যান চলাচল করছে। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে জানানো হয়েছে, নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট মেট্রোর কাজের জন্যই এই বিপত্তি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, চিংড়িঘাটা উড়ালপুলে প্রযুক্তিগত ত্রুটি থাকায় বিশেষজ্ঞরা ভেঙে ফেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। ভবিষ্যতে নতুন করে তৈরি করা হবে। মেট্রো কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
আরও পড়ুন: Weather Update: সপ্তাহশেষে মুখে হাসি কলকাতার! কী পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের?