ঋত্বিক প্রধান ও অমিতাভ রথ, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম:  প্রবল বৃষ্টিতে দিঘার সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস। পর্যটকের সমুদ্রে নামায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। মত্স্যজীবীদেরও সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। দিঘার পাশাপাশি, জলমগ্ন পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা ও কাঁথির বিস্তীর্ণ এলাকা। জল-যন্ত্রণা ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন এলাকাতেও।


ফুঁসছে সমুদ্র! গার্ডওয়াল টপকে আছড়ে পড়ছে ঢেউ! নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টি। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। আর তার জেরেই দিঘায় প্রবল জলোচ্ছ্বাস। একই ছবি শঙ্করপুর, মন্দামণিতেও! বৃষ্টির জেরে আবহাওয়া খারাপ থাকায়, সৈকত শহরে এসে বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরা। দিঘাতে বেড়্রাতে আসা পর্যটক সিরাজ মণ্ডল বলেন, "বেড়াতে এসেছিলাম। আবহাওয়া খারাপ। প্রশাসনের তরফে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। আপাতত হোটেলবন্দি।"  উপকূলবর্তী এলাকা ছাড়াও প্রবল বর্ষণে জলমগ্ন এগরা ও কাঁথি। অনেক বাড়িতে জল ঢোকায় দুর্ভোগে বাসিন্দারা। 


পূর্ব মেদিনীপুরের এগড়ার বাসিন্দা শঙ্কর শিট বলেন, "জল নিকাশি সম্পূর্ণ বেহাল। রাস্তা পুকুর বোঝা যাচ্ছে না। বাড়িতেও জল ঢুকছে।" রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, "পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে। সেচ দফতরকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ব্ল্যাক স্টোন মজুত রাখা হয়েছে। এখনও কোনও পরিবারকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি। তবে ক্যাম্প তৈরি রাখা হচ্ছে। প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে।" 


এদিকে, ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইলে রাস্তার উপর দিয়ে বইছে কেলেঘাই নদীর জল। ডুলুং, সুবর্ণরেখা নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় ঝাড়গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকায় দেখা দিয়েছে প্লাবণের আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই চাষের জমি জলমগ্ন হওয়ায় মাথায় হাত কৃষকদের। 


নিম্নচাপ এর জেরে দক্ষিণবঙ্গের উপকূল এলাকার জেলা জুড়ে প্রবল বৃষ্টি শুরু। গভীর রাত থেকেই ভারী বৃষ্টি হচ্ছে উপকূল এলাকাগুলিতে। যার ফলে নীচু এলাকাগুলিতে জল জমতে শুরু করেছে। গ্রামগুলিতে অধিকাংশ পুকুর ডুবে গিয়ে রাস্তা ভাসিয়ে দিয়েছে। কিছু কিছু নীচু এলাকার বাড়িগুলিতে জল ঢুকতে শুরু করেছে। অধিকাংশ রাস্তাগুলি জলমগ্ন হয়ে যায়।