Digha Shankarpur Marine Drive: নোটিস-ক্ষতিপূরণ ছাড়াই জমিদখল! দিঘা-শঙ্করপুর মেরিন ড্রাইভ ঘিরে বিতর্ক
Akhil Giri: জমি-দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে মন্ত্রী জানিয়েছেন, ওই জায়গা দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদেরই ছিল।
কলকাতা: আগাম নোটিস এবং ক্ষতিপূরণ ছাড়াই জমি দখল করে দিঘায় মেরিন ড্রাইভ তৈরির অভিযোগ উঠল দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের বিরুদ্ধে (Digha Shankarpur Marine Drive)। জমির মালিকদের অভিযোগের তির মূলত মন্ত্রী তথা রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি এবং দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের সহকারি ইঞ্জিনিয়ার দীপক পাত্রর দিকে। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দ্বারস্থ হয়েছেন জমির মালিকরা। দখল করাই তৃণমূলের সংস্কৃতি, কটাক্ষ বিজেপি-র (BJP)।
ক্ষতিপূরণ বা স্টল বিলির ব্যাপারে কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি বলে দাবি
জমি-দখলের অভিযোগ যদিও অস্বীকার করেছেন মন্ত্রী অখিল (Akhil Giri)। তিনি জানিয়েছেন, ওই জায়গা দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদেরই ছিল। তবে জমি মালিকরা চাইলে মাপজোক করা যেতে পারে। ক্ষতিপূরণ বা স্টল বিলির ব্যাপারে কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী। মেরিন ড্রাইভ তৈরির কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না বলে দাবি করেছেন সহকারি ইঞ্জিনিয়ার দীপকও।
গতবছর কাঁথির শৌলা থেকে দিঘা পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মেরিন ড্রাইভকে ঘিরেই এখন বিতর্ক। সরকারি প্রকল্পের কাজে খোদ সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ। ক্ষতিপূরণ বিলিতেও কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে। এমনকি অভিযোগ জানাতে গেলে মন্ত্রী অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee contempt of court : মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ বিকাশরঞ্জনের
দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা DSDA-র তত্ত্বাবধানে তৈরি হয়েছে মেরিন ড্রাইভ। তা ধরে দিঘা থেকে দিঘা মোহনা যাওয়ার পথে পড়ে গঙ্গাধরপুর মৌজা। সেখানকার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, তাঁদের অন্ধকারে রেখে, বিনা নোটিসে জমি দখল করে তার ওপর পিচ রাস্তা বানানো হয়েছে। এমনকি তার জন্য এখনও পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের টাকা বা স্টল কোনওটাই মেলেনি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়দের একাংশ।
আত্মহত্যা প্ররোচনা জুগিয়েছেন মন্ত্রী! দাবি স্থানীয়দের একাংশের
এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। অভিযোগকারীদের দাবি, ক্ষতিপূরণের কথা বলতে গেলে ৫ লক্ষ টাকা কাটমানি দাবি করেন দীপক। শুধু তাই নয়, খোদ মন্ত্রীও তাঁদের কথায় আমল দেননি, উল্টে আত্মহত্যা প্ররোচনা জুগিয়েছেন বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা। বিষয়টি সামনে আসতেই তৃণমূলকে একহাত নিয়েছে বিজেপি। কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক অসীম মিশ্র বলেন, "এটাই তৃণমূলের রীতি। রাজ্য জুড়ে প্রতারণার কারবার চালাচ্ছে।"