কলকাতা : গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) ইডি (Enforcement Directorate) অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করেছে। এরপরই বীরভূম (Birbhum) জেলা তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। "পশ্চিমবঙ্গে যত ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারি হয়েছে এবং রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হিংসা হয়েছে, সব জায়গার অনুব্রত মণ্ডলের কোনও না কোনও যোগাযোগ আছে", বলে সুর চড়ান তিনি।


সুর চড়ালেন দিলীপ-


তিনি বলেন, "ধীরে ধীরে সব প্রমাণিত হচ্ছে। সিবিআই-ইডি যারা যারা এব্যাপারে তদন্ত করছে, সবার কাছে তথ্য আছে। সব কেসে বারবার তাঁকে গ্রেফতার হতে হবে এবং আদালতের সামনে যেতে হবে।"


আজ সাড়ে ৫ ঘণ্টা জেরার পর অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে ইডি। আসানসোল জেলে গিয়ে তাঁকে জেরা করেন এজেন্সির আধিকারিকরা। বিপুল সম্পত্তি, টাকার লেনদেন ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকার উৎস কী ? জানতে চেয়ে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে জেরা করা হয়। কিন্তু, তিনি সদুত্তর দিচ্ছিলেন না, তথ্য গোপন করছিলেন বলে ইডি সূত্রে খবর। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে হেফাজতে চেয়ে দিল্লি নিয়ে যেতে আবেদন জানাতে পারে ইডি, এমনই খবর সূত্রের। গরুপাচার মামলায় এখন জেল হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল


একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য-


গরুপাচারকাণ্ডের তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে সিবিআইয়ের হাতে। সিবিআই সূত্রে দাবি, ২০১৭-র মাঝামাঝি থেকে ২০২১-এর গোড়া পর্যন্ত ৪ বছরে কোটি কোটি নগদ টাকা জমা পড়েছে বীরভূমের ২টি রাষ্ট্রায়ত্ত ও একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে। অনুব্রত মণ্ডল , তাঁর স্ত্রী ছবি মণ্ডল, মেয়ে সুকন্যা, মেয়ের দুটি সংস্থা, ওই সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনের ৮টি অ্যাকাউন্টে এই চারবছরে মোট নগদ ১৬ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা জমা পড়েছিল ! এই খবর  এখনও পর্যন্ত জানতে পেরেছে সিবিআই। খবর সূত্রের। কোটি কোটি টাকা নগদ কেন নেওয়া হয়েছিল, কারা জমা দিয়েছিল, নগদ জমা নেওয়ার ক্ষেত্রে যে নিয়ম থাকে, তা মেনে চলা হয়েছিল কি না, জানতে ৩টি ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের তলব করেছে সিবিআই। খবর সূত্রের। 


প্রসঙ্গত, গত ১১ নভেম্বর অনুব্রত মণ্ডলের ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।


আরও পড়ুন ; গরুপাচার মামলায় এবার অনুব্রতকে গ্রেফতার ইডি-র