কলকাতা : পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) পর অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। দু’সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট নেতা। এনিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছে বিরোধীরা। সেই আক্রমণের মাত্রা আরও চড়ালেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। "সবে মাত্র দুটো উইকেট পড়েছে। অনেক বেশি উইকেট পড়বে," বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কী বলছেন দিলীপ ?
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, "আমার তো ধারণা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) মন্ত্রী মণ্ডলের বৈঠক (Cabinet Meeting) করতে হলে, জেলের মধ্যে গিয়ে করতে হবে। পার্টির রাজ্য কমিটির মিটিং করলেও জেলের মধ্যে গিয়ে করতে হবে। কারণ, বেশিরভাগ নেতা-এমএলএ-এমপি সব দুর্নীতিগ্রস্ত। সারা বাংলার লোক জানে। সাধারণ মানুষই কোর্টে গেছে। কোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সেই তদন্তে ধরা পড়েছে। সেজন্য যারা রাজনীতি দেখছেন তাঁদের বলব, মাথাটা ঠিক করুন। কারণ, পশ্চিমবঙ্গের যা দুর্নাম হয়েছে, তার থেকে মুক্তির জন্য এটাই একমাত্র রাস্তা।"
আরও পড়ুন ; অনুব্রত গ্রেফতার হতেই গ্রামে নকুলদানা বিলির আবেদন, 'একদম' সায় দিলীপের
গত ২৩ জুলাই শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর গতকাল, ১১ অগাস্ট গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট নেতা। এই প্রেক্ষাপটে দুর্নীতির অভিযোগকে অস্ত্র করে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে বাম, কংগ্রেস ও বিজেপি।
অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় মিছিল বের করে বিজেপি। বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের নেতৃত্বে মিছিল হয়। মিছিল থেকে পথচারীদের বিলি করা হয় বাতাসা। বাঁকুড়ার ওন্দায় বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখার নেতৃত্বে মিছিল হয়। মিছিল থেকে বিলি করা হয় নকুলদানা। গরুর গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে মিছিল হয়।
পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে গুড় বাতাসা, নকুলদানা নিয়ে মিছিল করে বিজেপি। খড়গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় দলীয় কর্মীদের নিয়ে ইন্দাবাজার এলাকায় পথচারীদের মধ্যে বাতাসা ও নকুলদানা বিলি করেন। বাজারের দোকানেও তা বিলি করা হয়।
আজ সকালেও পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে পথচারীদের মধ্যে গুড় বাতাসা ও নকুলদানা বিলি করেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক বিবেকানন্দ বাউড়ি।