রঞ্জিৎ সাউ, কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ জঙ্গি, গ্যাংস্টারদের শেল্টার হয়ে গেছে। অথচ বিএসএফের সীমান্ত সীমা বাড়ানোর বিরোধিতা করছে রাজ্য সরকার। আসলে বিরোধিতার পিছনে রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষগ্রাম থেকে এনআইএ-র হাতে সন্দেহভাজন জেএমবি জঙ্গির গ্রেফতারের ঘটনায় রাজ্য সরকারকে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের।


 






দিলীপ আরও বলেছেন, ‘সবাই ভ্যাকসিন পাননি। এত হাসপাতালও নেই। তাই করোনা নিয়ে সাবধানতা প্রয়োজন। সবাই সচেতন থাকুন।’


অন্যদিকে, আজ কু অ্যাপে একটি পোস্ট করে রাজ্যবাসীকে কালীপুজোর শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন দিলীপ।


গতকাল জেএমবি জঙ্গি সন্দেহে সুভাষগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় আব্দুল মান্নান ওরফে বাচ্চু নামে বাংলাদেশের এক নাগরিককে। এনআইএ-এর তরফে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের বরিশালে পৈত্রিক বাড়ি থাকলেও, বছরের পর বছর সুভাষগ্রামে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন আব্দুল। জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল মুজাহিদিন বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁর সরাসরি যোগ ছিল বলে NIA সূত্রে দাবি।


এ বছরের জুলাইয়ে দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুর থেকে তিন সন্দেহভাজন জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। পরে তাদের তুলে দেওয়া হয় এনআইএ-এর হাতে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, ওই তিনজনকে জেরা করেই উঠে আসে আব্দুল মান্নানের নাম। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার সুভাষগ্রামের পাঁচঘরা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ধৃতের কাছ থেকে জাল ভোটার ও আধার কার্ড মিলেছে বলে দাবি এনআইএ সূত্রে।


বাড়িওয়ালি সনি ভৌমিক জানিয়েছেন, ‘২০১৭-তে ভাড়া নিয়েছিলেন। যে কন্ট্রাক্টরকে বাড়ি করতে দিয়েছিলাম, তাদের মাধ্যমেই ওঁকে ভাড়া দিই। শেষ ১৪ মাসের ভাড়া দেননি। আগামী ১০ তারিখ বকেয়া ভাড়া মেটাবেন বলেছিলেন। উনি কী করেন না করেন আমি জানি না।’


পাশের বাড়িতে থাকা, আব্দুল মান্নানের সঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগ থাকতে পারে, একথা শুনে এখন শিউড়ে উঠেছেন প্রতিবেশীরা।


এনআইএ সূত্রে দাবি, অনলাইনে JMB জঙ্গি সংগঠনে নিয়োগের দায়িত্বে ছিলেন ধৃত আব্দুল মান্নান। তাঁর কাছ থেকে ভারতের জাল ভোটার কার্ড, আধার কার্ড এবং অন্যান্য নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মিলেছে বেশ কিছু বৈদ্যুতিন যন্ত্র। ধৃত সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গতকাল ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। সন্দেহভাজন জেএমবি জঙ্গিকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।