দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বেই বাংলায় উত্থান হয়েছিল বিজেপির। উনিশে হাফ, একুশে সাফ স্লোগান দিয়ে উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলে নজরকাড়া ফল করেছিল গেরুয়া শিবির। এবার সারা বাংলায় বিজেপির স্কোরকার্ড ১২/৪২। এত বড়  বিপর্যয়ের পরেও বর্তমানের বড়াই নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন। ঘুরপথে সুকান্ত মজুমদারদের নেতৃত্ব নিয়েই কি প্রশ্ন তুলে দিলেন দিলীপ ঘোষ? প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলি থেকে এই জল্পনা ছড়াচ্ছে। 


নিউটাউনে মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, উনিশের লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপি ৪১ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এবার লোকসভা ভোটে কেন তা কমে ৩৮ শতাংশে চলে এল?  প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতির  প্রশ্ন দলের সাংসদ, বিধায়ক বেশি থাকা সত্ত্বেও, এবং সর্বোপরি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে এসে দফায় দফায় সভা, রোড শো করে যাওয়ার পরেও, কেন ভোট কমল? এমন ফলাফলের পর্যালোচনা হওয়া দরকার বলে মনে করছেন দিলীপ ঘোষ। 


কাঠিবাজির অভিযোগ, নির্বাচনী কেন্দ্র বদল নিয়ে উষ্মা প্রকাশের পর দিলীপ ঘোষের মুখে এবার দলে ব্রাত্য থাকার অভিযোগ প্রকাশ্যে এল। প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতির বললেন, গত ৪ বছর ধরে তিনি পার্টির কোনও প্রোগ্রামে যান না। সেই সঙ্গে দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, দলের তরফে তাঁকে ডাকা হয় না। তাঁর মতামতও নেওয়া হয় না। মেদিনীপুর কেন্দ্রে সাংসদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করা সত্ত্বেও, তাঁকে ওই আসনে লড়তে দেওয়া হয়নি। ফের এই অনুযোগ শোনা গেল দিলীপ ঘোষের মুখে।  


লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপির এমন ফল হওয়ার পর থেকে দলের মধ্যেই দোষারোপ শুরু হয়েছে। প্রার্থী নির্বাচনা ও দলের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। সৌমিত্র খান থেকে জগন্নাথ সরকার, প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপর ঘোষকে জেতা কেন্দ্র মেদিনীপুর থেকে সরানো নিয়ে। অনেকেই আবার রাজ্যে দলীয় নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কি সুকান্ত মজুমদারের রাজ্য সভাপতিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন দিলীপও ? 'পার্টিতে এটা হয়। রেজাল্ট খারাপ হলে মনে ক্ষোভ জাগে। সবাই মতামত ব্যক্ত করে। এরা সবাই পার্টির স্বার্থে কথা বলছেন। এঁদের মতামত নেওয়া উচিত। এঁদের সঙ্গে কথা বলা উচিত। নাহলে কয় মাস পর সবাই এইসব ভুলে যাবে। আবার এক রেজাল্ট হবে। যারা অভিভাবক এটা তাদের দায়িত্ব। '  


আরও পড়ুন : 


মালদায় ২ আসনে ফুটল না ঘাসফুল, প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে চটেছেন মৌসম ?