রঞ্জিত সাউ, কলকাতা :  জল্পনা ছিল, তিনি থাকবেন, না থাকবেন না। নিজেই বলেছিলেন, মঞ্চে নয়, দর্শকাসনে থাকবেন। তবে শেষ পর্যন্ত মন পরিবর্তন করলেন দিলীপ ঘোষ। জানিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদির সভায় তিনি উপস্থিত থাকছেন না।  কিন্তু কেন? তাহলে কি অন্য কোথাও থাকছেন তিনি? নিজেই জানিয়ে দিলেন সবটা। শুত্রবার তাঁকে পাওয়া গেল এয়ারপোর্টে। বিমান ধরবেন তিনি। তার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি। অবশ্যম্ভাবী প্রশ্ন, থাকছেন না কেন আজকের সভায়, বিতর্ক এড়াতেই কি দিল্লি চলে যাচ্ছেন? 

 'দিল্লি যাচ্ছি ব্যাস এটুকুই'

শুক্রবার এয়ারপোর্টে ঢোকার আগে দিলীপ বললেন, 'দিল্লি যাচ্ছি ব্যাস এটুকুই। আমাকে কর্মীরা ডেকেছিলেন। তাই আমি হ্যাঁ বলেছিলাম। পার্টি ডাকেনি। হয়তো পার্টি চায় না, আমি যাই। আমি গেলে হয়তো অস্বস্তি হবে। তাই আমি দুর্গাপুর যাচ্ছি না। দিল্লিতে বিশেষ কাজে যাচ্ছি। পার্টির কাজে যাচ্ছি। পার্টির কাজ।' 

 পার্টির হাইকমান্ড কি তাঁকে দিল্লিতে ডেকেছে?

এর আগে নরেন্দ্র মোদির আলিপুরদুয়ারের সভাতেও আমন্ত্রিত ছিলেন না দিলীপ ঘোষ। সদ্য় নির্বাচিত রাজ্য় সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানেও তাঁকে দেখা যায়নি। পরে অবশ্য় দলীয় অফিসে গিয়ে শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তখন জল্পনা তৈরি হয়, শমীক দায়িত্ব নেওয়ার পর কি দিলীপের সঙ্গে দলের আলোচিত দূরত্ব মিটবে ? আবার কি পার্টির অনুষ্ঠানগুলিতে ডাক পাবেন তিনি? জল্পনা ছিল, ২১ জুলাই তিনি কোথায় থাকবেন , তা নিয়েও। এত কিছুর পর বৃহস্পতিবার জানা গেল, শুক্রবার নরেন্দ্র মোদির সভায় তিনি থাকছেন না। তবে পার্টির হাইকমান্ড কি তাঁকে দিল্লিতে ডেকেছে? তাহলে কি নতুন কোনও দায়িত্ব, নাকি বোঝাপড়া? জল্পনা চলছে।                 

বাংলায় আসার আগে কী লিখলেন মোদি?                   

অন্যদিকে বঙ্গে সভআর আগে সোশাল মিডিয়ায় নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের অপশাসনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলার মানুষ অনেক আশা নিয়ে বিজেপির দিকেই তাকিয়ে আছেন এবং তাঁরা নিশ্চিত যে একমাত্র বিজেপিই পারবে উন্নয়ন করতে। '১৮ জুলাই দুর্গাপুরে একটি জনসভায় ভাষণ দেব। যোগদান করুন।' লিখলেন মোদি। মানুষকে ডাক দিলেও, ডাক পেলেন না এখনও পর্যন্ত বঙ্গ বিজেপির সবথেকে সফল রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।