কলকাতা: রাজ্যপালের বাংলায় 'হাতেখড়ি'কে এবার তীব্র কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের। 'এই ধরনের নাটক রাজ্যপালের শোভা পায় না। যে কিছু জানে না, তাঁরই হাতেখড়ি হয়। যিনি সব জেনে গেছেন, তাঁর হাতেখড়ি হয় না। রাজ্যপাল অন্যের বুদ্ধিতে পরিচালিত হচ্ছেন। রাজ্যপালের পদের গরিমা আছে, এইসব ছোটখাটো বিষয়ে না জড়ানো উচিত। আশা করব ভবিষ্যতে রাজ্যপালের পদের মর্যাদা রক্ষা করবেন।' মন্তব্য বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের। 


রাজ্যপালের বাংলায় হাতেখড়ি: সরস্বতী পুজোর (Sataswati Puja 2023) দিনই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা শেখা শুরু করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। বৃহস্পতিবার রাজভবনে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর সামনেই বাংলায় হাতেখড়ি হয় রাজ্যপালের। রাজ্যপালকে বর্ণপরিচয় উপহার দেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এ দিন রাজভবনে রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে যাননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ দিন বিকেলে রাজভবনে বাংলায় হাতেখড়ি হয় রাজ্যপালের। লালপাড় হলুদ শাড়ি পড়া খুদে সরস্বতীর কাঁধে গুরুদায়িত্ব পড়ে। হাতে ধরে শ্লেটে রাজ্যপালকে অ-আ লেখা শেখায় খুদে মেয়েটি। তার পর রীতি মেনে স্বরবর্ণ-ব্যাঞ্জনবর্ণ উচ্চারণও করেন রাজ্যপালও। গুরুদক্ষিণাবাবদ খুদে মেয়েটির হাতে তুলে দেন উপহারও। 


অব্যাহত তরজা: রাজ্যপালের হাতেখড়ি নিয়ে বরং বিজেপি-তৃণমূল বাগযুদ্ধ শুরু হয়েছে। শুভেন্দুর দাবি, শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির দাগ তুলতে পরিকল্পনা করে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। এই হাতেখড়ি অনুষ্ঠান রাজভবনের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে না বলেও ট্যুইটারে লেখেন তিনি। তা নিয়ে দুই দলের মধ্যে তরজা শুরু হয়েছে। এর আগে গতকাল রাজ্যপালের বাংলায় হাতেখড়ি নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্যপালের উদ্দেশে তিনি বলেন, "প্রথমেই ভুল মাস্টারের কাছে হাতেখড়ি হলে, ভুলই শিখবেন। তাই ঠিকঠাক মাস্টার চয়ন করুন।" এর পাল্টা দিলীপকে একহাত নেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, "নিজেরা ঠিক ভাবে হাতেখড়ি দিন। না হলে ৭০ থেকে সাতে নেমে যাবেন।"


রাজ্যপালকে বর্ণ পরিচয় উপহার: উপহার হিসেবে রাজ্যপালের হাতে বর্ণপরিচয় তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথম ভাগ এবং দ্বিতীয় ভাগ তুলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমরা মূলত স্বরবর্ণ এবং ব্যঞ্জনবর্ণ শিখি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বর্ণ পরিচয়ের প্রথম এবং দ্বিতীয় ভাগ থেকে। মাতৃভাষাকে সম্মান জানিয়ে এবং রাজ্যপালের শেখার সুবিধার জন্য এটা তাঁর হাতে তুলে দিচ্ছি। এটা আমাদের কাছে খুব গর্বের মুহূর্ত। মহাত্মা গাঁধীও বাংলা শিখেছিলেন। আমাদের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপাল কৃষ্ণ গাঁধীরও বাংলা ভাষার প্রতি আগ্রহ ছিল।''   


আরও পড়ুন: Birbhum: কালো টাকা কোন পথে সাদা? উত্তর পেতে অ্যাকাউন্টের ফরেন্সিক পরীক্ষা