বীরভূম: গরু পাচারের (Cow Smuggling Case) কালো টাকাই কি ঘুরপথে সাদা হয়ে ঢুকেছে বীরভূমের (Birbhum) চালকল মালিকদের অ্য়াকাউন্টে? তা জানতে এবার অ্য়াকাউন্টে লেনদেনের ফরেন্সিক পরীক্ষা হবে বলে সিবিআই (CBI) সূত্রে দাবি। তাতে কি নতুন তথ্য় সামনে আসবে? সেটাই দেখার।
অ্য়াকাউন্টে লেনদেনের ফরেন্সিক পরীক্ষা: প্রথমে ১৭৭, এবার ১৫৩। গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে, আরও বিপুল সংখ্য়ক বেনামি অ্য়াকাউন্টের হদিশ পেয়েছে সিবিআই। যার ফলে মোট বেনামি অ্য়াকাউন্টের সংখ্য়া দাঁড়িয়েছে ৩৩০। এইসব অ্য়াকাউন্টের মাধ্য়মে গরু পাচারের কালো টাকা সাদা হয়েছে বলে সিবিআইয়ের অনুমান। কিন্তু, সেই অঙ্কটা কত? সেটাই জানার চেষ্টা করছে সিবিআই।
সিবিআই সূত্রে দাবি, অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ৩-৪টে অ্য়াকাউন্ট ঘুরে কোনও চালকলের অ্য়াকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। এভাবেই হাজার হাজার লেনদেন হয়েছে। সিবিআই সূত্রে দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন চালকল মালিকের অ্য়াকাউন্টেও টাকা ঢুকেছে। এই লেনদেন চিহ্নিত করতে অ্য়াকাউন্ট ট্রানজাকশনের ফরেনসিক পরীক্ষা করানো হবে। এমাসের শুরুতেই গরু পাচার মামলার তদন্তে সিবিআইয়ের স্ক্য়ানারে উঠে আসে সিউড়ির সমবায় ব্য়াঙ্ক!
৫ জানুয়ারি সিউড়ির এই সমবায় ব্য়াঙ্কে হানা দেয় সিবিআই। এরপর এবিপি আনন্দের অন্তর্তদন্তে উঠে আসে, চাঞ্চল্য়কর তথ্য়। যেমন পিয়াশালা গ্রামের বাসিন্দা গোপাল ঘোষের নামে সিউড়ির সমবায় ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট ছিল। সিবিআই সূত্রে দাবি, সেই অ্য়াকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে।অথচ পরিবারের দাবি, গোপাল ঘোষ বছর তিনেক আগেই মারা গেছেন। ওই গ্রামের বাসিন্দা তথা মৃত গোপাল ঘোষের দাদা ভগীরথ ঘোষ বলেন, “সিউড়ির ব্যাঙ্কে আমার কোনও অ্যাকাউন্টই ছিল না। গোপাল ৩ বছর আগে মারা গেছে। এই হল তার ডেথ সার্টিফিকেট।’’
বীরভূমের হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা সুন্দরী বাসকি লেখাপড়া জানেন না। কোনও জায়গায় সাক্ষরের প্রয়োজন হলে টিপ সই দেন! কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, সিউড়ির সমবায় ব্যাঙ্কে তাঁর নামেও অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আর যিনি নিজে বলছেন, টিপসই দেন, অথচ অ্যাকাউন্ট খোলার ফর্মের নিচে তাঁর নামের সই-ও রয়েছে। সেই সমবায় ব্য়াঙ্কেই আরও বেনামি অ্য়াকাউন্টের হদিশ মিলেছে।
আরও পড়ুন: Suri Bank Fraud: ব্যাঙ্কের নথিতে ছবি কার? আরও ঘনীভূত অ্যাকাউন্ট রহস্য