কলকাতা: তৃণমূলের দিদির দূত ও দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিকে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। 'দিল্লির দূতরা এখন বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে। ব্যাঙ্ক, বিডিও অফিসেও পৌঁছে যাচ্ছে দিল্লির দূত। সেই ভয়ে তৃণমূলের (Trinamool) নেতারা থরহরিকম্প। মানুষ শীতে কাঁপছে, তৃণমূল সিবিআইয়ের (CBI) ভয়ে কাঁপছে। দিদির সুরক্ষাকবচ এখন তৃণমূলের নেতাদের লাগবে।' কটাক্ষ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের।''                                                         

  


দিলীপের কটাক্ষ: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll) আগে কর্মসূচির টক্কর। 'দিদির সুরক্ষা কবচ' নিয়ে ময়দানে তৃণমূল (Trinamool)। পঞ্চায়েত নির্বাচন মানে গ্রামবাংলার ভোট। সেই পরীক্ষায় পাস করতে, এবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তৃণমূল। বাংলার গর্ব মমতা বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়-এর পরে শুরু হতে চলেছে দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচি। ১১ জানুয়ারি থেকেই এই কর্মসূচি নিয়ে পথে নামছে তৃণমূল। আর এই ইস্যুতে কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। তিনি বলেন, "দিল্লির দূতরা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে। ব্যাঙ্ক, বিডিও অফিসেও যাচ্ছে। সুরক্ষকবচ প্রয়োজন তৃণমূল নেতাদের।''                                                         


কীভাবে হবে কাজ?


১৫টি সরকারি প্রকল্পের প্রচারে, বাংলার ১০ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাবেন দিদির দূতেরা। শহর থেকে গ্রাম রাজ্য সরকারের ১৫টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা সবাই পাচ্ছেন কি না, তা জানতে দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাবেন তৃণমূলের জন প্রতিনিধিরা। স্থানীয় মানুষদের কাছে তাঁরা জানতে চাইবেন প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি-অভাব-অভিযোগের কথা। কর্মসূচির মধ্যে থাকছে, এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং তাঁদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের বিষয়টিও। এর পাশাপাশি তৃণমূলের জন প্রতিনিধিরা স্থানীয় অফিস, হাসপাতাল-সহ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি পরিদর্শন করবেন। আলোচনা হবে স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান এবং পঞ্চায়েতের সদস্যদের সঙ্গে। দিনের শেষে তাঁরা দলেরই কোনও কর্মীর বাড়িতে নৈশভোজ এবং রাত্রিযাপন করবেন। কর্মসূচির পরবর্তী ধাপে দিদির দূতরা পৌঁছে যাবেন বাড়ি বাড়ি।                               


আরও পড়ুন: Murshidabad News: বিডিও অফিসে স্কুল পরিদর্শককে মারধরের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল