ঝিলম করঞ্জাই, আশাবুল হোসেন ও দীপক ঘোষ, কলকাতা : পার্থ-অনুব্রতর পর কে? এ নিয়ে জল্পনার মধ্যেই ফিরহাদ হাকিমকে জেলে পাঠানোর হুমকি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বললেন, তৃণমূলে একটা হেকিম আছে, তাঁকেও ভিতরে পাঠানোর ব্যবস্থা করব। আর তারপর ফের একবার কেন্দ্রীয় সরকারের এজেন্সির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপিও। সম্প্রতি এই নিয়েই সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
সুকান্ত মজুমদারের মুখে হেকিম প্রসঙ্গ!
দুই হেভিওয়েট এখন জেলে! এরপর কি আরও কাউকে গ্রেফতার করতে পারে কেন্দ্রীয় এজেন্সি? এই প্রশ্নেই এবার সুকান্ত মজুমদারের মুখে হেকিম প্রসঙ্গ! যা ঘিরে জোর গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে। এই আবহেই অনেকের মনে পড়ে যাচ্ছে ১৪ অগাস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্য।
আরও পড়ুন :
' TMC থেকে BJP যোগ গাঁজাকেসে ফাঁসিয়েছিলেন' , অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ায় দারুণ খুশি মোতাহার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে কী বলেছিলেন
গত ১৪ অগাস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ' ববি আমায় বলছিল ওর পাড়ায় ঘুরছে আর আমার বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞাসা করছে। আমার বাড়িতে সিবিআই গেলে আন্দোলনে নামবেন তো? '
আইনের সামনে দাঁড়াতেই হবে : সুকান্ত মজুমদার
এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'যাঁরা এসএসসি’র দুর্নীতি করেছেন, যাঁরা চাকরি বিক্রি করেছেন, তাঁদেরকে তো আইনের সামনে দাঁড়াতেই হবে। সংবিধান অনুসারেই দাঁড়াতে হবে ।
ঠদু’টো মাছ ধরা পড়েছে : দিলীপ
প্রায় একই সুরে তোপ দেগেছেন দিলীপ ঘোষও। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বলেন, ' সারা ভারতবর্ষজুড়ে শুদ্ধিযজ্ঞ শুরু হয়েছে। এই যজ্ঞে অনেকেরই আহুতি হয়ে যাবে। মোটা মোটা লোক শুরু হয়েছে, সিবিআই ঠিক করেছে এক ক্যুইন্টালের ওপরে না হলে তুলবে না। দু’টো মাছ ধরা পড়েছে। চিন্তা করবেন না, কেউ পার পাবে না। পুঁটি, পাঁকাল, চ্যাং কেউ বাদ যাবে না '
সব মিলিয়ে গ্রেফতারির ভূত-ভবিষ্যত ঘিরে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।