কলকাতা : কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ আশেপাশের জেলাগুলিতে যখন করোনা হু হু করে বাড়ছে, তখন প্রশাসনিক কড়াকড়ির ফলে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্র। ডায়মন্ড হারবারে সংক্রমণের হার উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। যা প্রশংসাও পেয়েছে চিকিৎসক মহলে।
সোমবার ডায়মন্ড-মডেলের সাফল্য তুলে ধরে ফেসবুকে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, আরও একবার করে দেখাল ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র। গঙ্গাসাগর ও কলকাতার কাছাকাছি হওয়া সত্ত্বেও ডায়মন্ড হারবারে সংক্রমণের হার ৩ শতাংশের নীচে। এই যুদ্ধে লাগাতার সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য ডায়মন্ড হারবারের মানুষকে ধন্যবাদ।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর,
- রবিবার গোটা রাজ্যে সংক্রমণের হার ছিল ২৭.৭৩ শতাংশ।
- দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সংক্রমণের হার ছিল ১৬.৫৩ শতাংশ
- সেখানে সেই জেলারই ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে সংক্রমণের হার নেমে এসেছে ২.৮২ শতাংশে।
আরও পড়ুন :
'নেশার জন্য টাকা দিতে না চাওয়ায় খুন', গ্রেফতার LIC এজেন্ট খুনের অভিযুক্ত
এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা। মঙ্গলবার অভিষেকের ডায়মন্ড হারবার মডেল নিয়ে চাঁচাছোলা আক্রমণ দিলীপ ঘোষের। তিনি দাবি করেন. ' যদি এই মডেল ভাল হয়, কলকাতায় কেন করে দেখাচ্ছেন না? ডায়মন্ড হারবারটা খালি পশ্চিমবঙ্গ নাকি? ' তিনি উল্লেখ করেন, এই মুহূর্তে কলকাতায় সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। সেখানে পর্যাপ্ত টেস্ট হচ্ছে না। দিলীপের দাবি, সংক্রমণ কম দেখানোর জন্য টেস্ট কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। '২ লাখ- ৩ লাখ টেস্ট রোজ হোক না তাহলে বোঝা যাবে বাংলা কোথায়?' বলেন দিলীপ।
অন্যদিকে তাঁর দাবি, সরকারের ইমেজ ঠিক করতে এসব হচ্ছে। এর মধ্যে আসল পরিস্থিতি বোঝা যায় না। বাংলার মুখরক্ষার জন্য ইচ্ছেমতো কম তথ্য দেখাচ্ছেন। নির্বাচন করাতে হবে, তাই করোনা সংক্রমণ কম করে দেখাতে হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ' বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে? যদি ডায়মন্ড হারবার মডেল সফল হয়, তাহলে বাকি বাংলা বিফল হল কেন? এটাকে রোখা যেত, আটকানো যেত, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঠিত থাকলে...যদি ডায়মন্ড হারবারে সংক্রমণ কমে, তাহলে বাংলায় কমছে না কেন? '