রঞ্জিত সাউ, কলকাতা : ভর সন্ধেয় বিমার এজেন্টকে কুপিয়ে খুনের ঘটনা ঘটে গত নভেম্বরে। মাসদুয়েক পর হল খুনের কিনারা। গ্রেফতার অভিযুক্ত। 



দিনটা ছিল গত বছরের ৮ নভেম্বর। সল্টলেকের মহিষবাথানে ভাড়া বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হয় বিমা সংস্থার এজেন্ট নির্মলচন্দ্র মজুমদারের রক্তাক্ত মৃতদেহ। বাড়ি মালিক অভিযোগ করেন,
বাড়ি ফিরে ওই ভাড়াটেকে গলার নলি কাটা অবস্থায় বাড়ির উঠোনে পড়ে থাকতে দেখেন। তার কিছুক্ষণ আগেই বাড়ি থেকে ধারাল অস্ত্র হাতে ছুটে বেরোতে দেখা যায় এক ব্যক্তিকে।  

খুনের পর থেকেই পলাতক ছিল ওই ব্যক্তি। ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানার পুলিশ এসে নির্মলচন্দ্রকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্‍সকরা।  পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই প্রতিবেশী।  প্রশ্ন ওঠে, নির্মলচন্দ্রের সঙ্গে কি তার কোনও বিবাদ ছিল?  আর্থিক বিবাদের কারণেই কি এই খুন?  তদন্তে নেমে এই সব সম্ভাবনাগুলোই খতিয়ে দেখে পুলিশ। খোঁজ চালায় অভিযুক্তের । 


পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার রাতে সল্টলেকের কলেজ মোড়ে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকেই খুনে অভিযুক্তকে হাতেনাতে পাকড়াও করে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। 

কিন্তু কী কারণে খুন করা হল ওই বিমা এজেন্টকে? পুলিশ সূত্রে খবর জেরায় ধৃত জানিয়েছে, বিমা এজেন্টের সঙ্গে তার আগে থেকেই পরিচয় ছিল। খুনের দিন সে নেশা করার জন্য টাকা চায়। টাকা না দেওয়ায় রাগের বশে কুপিয়ে খুন করে। 



আরও পড়ুন :


সপ্তাহান্তে মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টির সম্ভাবনা, ১৩ ডিগ্রির নিচে নামল পারদ



অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায় গৃহবধূর রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে গলায় গামছা জড়ানো রক্তাক্ত ও বিবস্ত্র মৃতদেহ। উদ্ধারএই ঘটনা সামনে আসতেই সোমবার সকালে শোরগোল পড়ে যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা শহরের জয়ন্তীপুরে। সিগারেটের টুকরো, মদের বোতলও। প্রাথমিক তদন্তে খুনের অনুমান পুলিশের। দানা বেঁধেছে রহস্য। এক প্রতিবেশীর দাবি সেই সন্দেহ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।