কলকাতা: রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে (University) যে কোনও আর্থিক খরচ সংক্রান্ত বিষয়ে আচার্য তথা রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হবে। এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছে রাজভবন। যা নিয়ে স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। এবার এই ইস্যুতে রাজ্যের দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাজ্যপাল। তাঁর একটা বক্তব্য থাকেই। আর্থিক বিষয়ে যে গন্ডগোল রাজ্য সরকার করে, বিশ্ববিদ্যালয়ে তাই আছে। আমার মনে হয় যত্রতত্র যেমন ইচ্ছা অর্থ বরাদ্দ এবং খরচা করার জন্যই মুখ্যমন্ত্রী নিজে আচার্য হতে চাইছেন। রাজ্য সরকার এমনিতেও কোনও নিয়ম মানে না। সারা দেশে একরকম ব্যবস্থা, পশ্চিমবঙ্গে আরেকরকম। তার একটাই উদ্দেশ্য অর্থ। স্বেচ্ছাচারিতার জন্য দুর্নীতি চূড়ান্ত। রাজ্যপাল খরচা করতে না করেননি। কোথায় কীভাবে খরচা হবে তা জানতে চেয়েছেন। নিজেদের লোকেদের পাইয়ে দেওয়ার নিয়মকে জারি করে রাখতে চেয়েছেন। '
নির্দেশিকা জারি রাজভবনের: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) যখন রাজ্য-রাজনীতি উত্তাল, তখন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আর্থিক কার্যকলাপের ওপরে নজর রাখার সিদ্ধান্ত নিল রাজভবন। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে আগে আচার্য তথা রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হবে। রাজভবন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই নির্দেশ পৌঁছে গেছে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কাজ হচ্ছে, তা রিপোর্ট আকারে, প্রতি সপ্তাহের শেষ কাজের দিনে, ইমেল করে রাজভবনকে জানাতে হবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী (Partha Chatterjee) থাকাকালীন বিধি তৈরি হয়েছিল যে, উপাচার্যরা কেবলমাত্র উচ্চশিক্ষা দফতর মারফৎ রাজভবনের সঙ্গে কথা বলতে পারবে। এদিন রাজভবনের নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, উপাচার্যরা যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরাসরি আচার্যের সঙ্গে টেলিফোন অথবা ইমেল মারফৎ কথা বলতে পারবেন। রাজভবনের এই নির্দেশিকা দেখে উচ্চ শিক্ষা দফতর ক্ষুব্ধ।
এদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্ক প্রতিযোগীর নয় সহযোগীর। ইউজিসি-র প্রতিটি সমীক্ষায় রাজ্য উচ্চস্থানে আছে। আমরা কোনও দ্বৈরথ চাইনা, সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে চাই। রাজ্যপালের চিঠির আইনি বৈধতা নিয়ে সংশয় আছে। রাজ্যপাল যা বলতে চান তা পরিষ্কার করে বলুন অথবা কাজে তা প্রকাশ করুন। সাংবাদিক বৈঠকে বলা হয়েছে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। এই চিঠি সেই সাংবাদিক বৈঠকের অভিমুখের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিবকে বলেছি আইনে কী সংস্থান আছে দেখতে।