সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: রিষড়ায় যাওয়ার চেষ্টা আইএসএফ (ISF) প্রতিনিধি দলের। কোন্নগর স্টেশনে তাদের আটকায় পুলিশ (Police)। মূলত রামনবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তির পর ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে রিষড়ায়। মাঝে গিয়েছে শুধু হনুমান জয়ন্তী। তবে কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি প্রশাসন। হাইকোর্টের নির্দেশের পর গতকাল রাজ্যে মোতায়েন করা হয় ৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয়বাহিনী (Central Force)। স্বাভাবিকভাবেই হাওড়াকাণ্ডের পর হুগলির রিষড়াকে নিয়ে অতিসতর্ক রাজ্য। এহেন পরিস্থিতিতে কোন্নগর স্টেশনে পতাকা নিয়ে মিছিল করে আইএসএফ। তবে পরে প্ল্যাটফর্ম থেকে নেমে রিষড়া যাওয়ার চেষ্টা করলে স্টেশনের নিচে তাঁদের আটকায় পুলিশ।
রিষড়ায় যাওয়ার চেষ্টা ISF-র
উত্তরপাড়ার আইসি পার্থ সিকদার ডানকুনি থানার আইসি তাপস সিনহার নেতৃত্বে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। চন্দননগর পুলিশের মহিলা বাহিনী উইনার্স টিমও স্টাকো ফোর্স ডাকা হয়। এদিন আইএসএফ (ISF) প্রতিনিধি দলে ছিলেন,সামসূল মল্লিক,বিশ্বজিৎ মাইতি,লক্ষ্মী হাঁসদারা। তবে আইএসএফ (ISF) প্রতিনিধি দল কেন রিষড়া যেতে চায় ? তা বোঝানোর চেষ্টা করেন আইএসএফ নেতারা।
কেন রিষড়া যেতে চায় ISF ? কী দাবি প্রতিনিধি দলের ?
আইএসএফ জানায়, অশান্তির পর থেকে এখনও অনেকেই বাইরে রয়েছে। তাদের বাড়ি ফেরানো, এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা, অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবি রয়েছে তাঁদের। রমজান মাসে রিষড়ায় ব্যবসা বাণিজ্য ভাল হয়। তাই মানুষের ভয় দূর করে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার দাবিও জানানো হয় পুলিশের কাছে। এই মর্মে একটি স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয় আইএসএফ-র পক্ষ থেকে।
কী জানাল পুলিশ ?
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৭৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এখনও ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে রিষড়ায়। তাই কোনও রাজনৈতিক প্রতিনিধি দলকে রিষড়ায় যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
'দায়ী মমতা'
সম্প্রতি, ৪২ দিন জেল খাটার পরে দেগঙ্গাতে প্রথম পা দিয়েছিলেন নৌশাদ সিদ্দিকি। আর ভাঙড়ের বিধায়কের উপস্থিতিতেই আইএসএফের কর্মীসভা পরিণত হয় জনসভায়। ওইদিন রিষড়া ইস্যুকে সামনে রেখে নৌশাদ বলেছিলেন, 'এই জন্য দায়ী পুলিশ মন্ত্রী অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন, বর্ধমানে কৃষকদের নিয়ে মিছিল শুভেন্দুর
অপরদিকে, ৪ তারিখ রিষড়া স্টেশনে (Rishra Station) ট্রেন থেকে নামতেই বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও (Locket Chatterjee) আটকেছিল পুলিশ। তাঁকে এগোতে দেওয়া হবে না বলে পুলিশ স্পষ্ট জানিয়ে দেয় তাঁরা। কিন্তু, আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলার দাবিতে অনড় ছিলেন সেদিন লকেট। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন বিজেপি সাংসদ। পুলিশের বাধার মুখে রিষড়া স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ধর্নায় বসে পড়েছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।