রঞ্জিত সাউ, কলকাতা : ভোটের ফল তাঁর বিরুদ্ধে গিয়েছে। প্রথম থেকেই জয়ের ব্যাপারে চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী হলেও শেষমেষ লোকসভা ভোটে হারলেন দিলীপ। তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের কাছে। ২২ গজের খেলোয়াড়ের কাছে হার মানতে হল রাজনীতির দুঁদে খেলোয়াড়কে। এই দিলীপ ঘোষের হাত ধরেই বাংলায় ২০১৯ সালে ১৮ টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ৭৭ জন প্রার্থী জিতে এসেছিলেন এই দিলীপ ঘোষের অধিনায়কত্বেই। এরপর মাঝে ৩ টি বছর চলে গেলেও ভোটের শতকরা হিসেবে আর এগোতে পারল না বিজেপি। বরং গত লোকসভা ভোটের থেকে ৬ টি কম আসনে জয় পেল গেরুয়া শিবির।

  


এবার বাংলায় বিজেপির এই ফলাফলের পিছনে ঠারেঠোরে রাজ্য নেতৃত্বকে নিশানা করলেন দিলীপ ঘোষ। বললেন, 'চক্রান্ত-কাঠিবাজি ছিল, পরিশ্রম করেছি, সাফল্য আসেনি। ২০২১ অবধি এগিয়েছি, তারপর দলের অগ্রগতি থমকে গিয়েছে। ' গত ৩-৪ বছরে এগোতে পারিনি, বাড়েনি প্রাপ্ত ভোটও।রীতিমতো থমকে গিয়েছে দলের অগ্রগতি , ২০২১ এর পর, মন্তব্য দিলীপের। আর উল্লেখযোগ্যভাবে ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সুকান্ত মজুমদার দিলীপ ঘোষের স্থলাভিষিক্ত হন। তাহলে কি বঙ্গবিজেপির বর্তমান ডিসিশন-মেকারদেরই নিশানা করলেন দিলীপ? তাঁর সংযোজন, ' ২০২১ এর পর দল  কেন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে, সেটা ভাবার দরকার আছে। দিলীপ ঘোষের কাজে এক শতাংশও ফাঁক ছিল না। হারা আসনে লড়াই করেছি। কাজ হয়নি',
বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভায় লক্ষাধিক ভোটে হারের পর মন্তব্য করেন দিলীপ।  


রাজ্য়ে দলের আসন কমে যাওয়ার জন্য় কার্যত নেতৃত্বকেই দায়ী করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী। তুললেন চক্রান্তের অভিযোগও। বললেন, 'রাজনীতিতে এটা অসম্ভব কিছু না। রাজনীতিতে চক্রান্ত, কাঠিবাজি এটা রাজনীতির অঙ্গ। আমি সেই ভাবেই নিয়েছি। আমি পুরো পরিশ্রম করেছি। কিন্তু, সফলতা আসেনি। রাজনীতিতে যা হয়, সবাই কাঠি নিয়ে ঘুরতে থাকে।' 


দলের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, 'আমাদের ব্য়ক্তিগত রেষারেষি, ভুল বোঝাবুঝি, ভুল নীতির জন্য় এত হাজার হাজার কর্মীর পরিশ্রম যেন জল হয়ে না যায়। তাহলে পরবর্তীকালে তাদেরকে কাজে লাগানো খুব মুশকিল হয়ে যাবে। মানুষেরও পার্টির প্রতি আস্থা চলে যাবে নেতৃত্বের প্রতি।'


আরও পড়ুন :                             


সন্দেশখালি-বিতর্কের জের কোথায়? বসিরহাটে জয় তৃণমূলের