রঞ্জিত সাউ, কলকাতা : সামনেই পঞ্চায়েত ভোট ( Panchayat Poll )। আর তার আগে ঠাকুরনগরে ( Thakur Nagar ) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের  ( Abhishek Banerjee ) নবজোয়ারের দিন ধুন্ধুমার হয়ে গেল। দফায় দফায় হল বিক্ষোভ, উত্তেজনা। হাসপাতালেও হাতাহাতিতে জড়ালেন তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকরা। গন্ডগোলের জেরে মূল মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দিলেন শান্তনু ঠাকুর। পাশের মন্দিরে পুজো দিয়ে, বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন অভিষেক। ঘটনা নিয়ে অমিত শাহকে নালিশ জানালেন বিজেপি সাংসদ।


এই অশান্তির ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ ( Dilip Ghosh ) । অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বললেন, ' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে সুপার সিএম মনে করছেন। সিএম তো আছেন ! তার উপরে চমকে-ধমকে উনি সবাইকে ঠান্ডা করবেন সেই অধিকার ওনাকে কে দিয়েছে ! মতুয়া সমাজ তাদের গুরুকে তারা প্রাণের চেয়েও বেশি শ্রদ্ধা করে। আর শান্তনু ঠাকুর শুধু সাংসদ নন ওদের সংঘাধিপতি। ওই সমাজের সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী। আর যে মন্দির আছে, ট্রাস্ট আছে সেটা তাদের সম্পত্তির ব্যাপার । তারা কাকে যেতে দেবেন, কাকে যেতে দেবেন না, সেটা তাদের ব্যাপার। অনুমতি নিয়ে যাওয়া উচিত, সেখানেও গায়ের জোর দেখাবেন। রাজনীতির কথা বলছেন! কে রাজনীতি শুরু করেছে মতুয়াদের নিয়ে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে বেশি কে করেছে? ' 

রবিবারই ঠাকুরনগরে, মতুয়া ঠাকুরবাড়ি ছুঁয়ে, জনসংযোগ যাত্রার কথা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু, তিনি সেখানে পৌঁছনোর আগেই বাঁধে তুলকালাম! যার জেরে মতুয়া মন্দিরের মূল ফটকই বন্ধ করে দেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। ঠাকুরনগরে ওঠে 'চোর চোর' স্লোগানও। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ' জঙ্গলমহলেও শুনেছেন। সেখানেও কুড়মি সমাজ ওনাকে চোর বলেছে। যারা ব্র্যান্ডেড চোর, তাদেরকে সব জায়গাতেই চোর শুনতে হবে। বলতে হয় না, প্রমাণ হয়ে গেছে চোর।'    


অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নে অশান্তি রুখতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে  রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার থেকে মনোনয়ন পর্ব শুরু হতেই জেলায় জেলায় সংঘর্ষ, অশান্তির ছবি ধরা পড়ে। গন্ডগোল আটকাতে আজ থেকে মনোনয়ন কেন্দ্রের ১ কিলোমিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই প্রসঙ্গে দিলীপের খোঁচা, '১৪৪ ধারা হয়তো আমাদের জন্যই করেছে। ওরা মারপিট করলে যাতে আমরা ঠেকাতে না পারি। বাইরের গন্ডগোল তো পুলিশ ঠেকাতে পারবেনা! পুলিশ চাইলে ওই এলাকায় কাউকে ঢুকতে দিতে না পারে। কেউ মানবে না ১৪৪ ধারা। আজ থেকে মনোনয়ন বেশি হবে, গন্ডগোলও বেশি হবে। '