কলকাতা : ৫০ দিন পর আজ রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী।  দুর্গাপুরে জোড়া সভা করবেন মোদি। আর এদিনই সাতসকালে এয়ারপোর্ট থেকে বিমান ধরলেন দিলীপ ঘোষ। নিজেই জানালেন , গন্তব্য দিল্লি। কিন্তু বাংলায় যেদিন এমন হাইভোল্টেজ মিটিং, সেদিন দিল্লিতে কী কাজ পড়ল দিলীপের? সকাল থেকেই তুঙ্গে জল্পনা। নিজেই জানান, পার্টির কাজেই দিল্লি যাচ্ছেন। তাই প্রশ্নটা আরও স্পষ্ট হয়, তাহলে কি হাইকমান্ডের সঙ্গে কোনও মিটিং? বেলা গড়াতেই এল বড় আপডেট। 

ওয়াকিবহাল মহলের খবর,  দুপুরে বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডার সঙ্গে বৈঠক করবেন দিলীপ ঘোষ।  দুপুর ১টা নাগাদ ।এর আগেও জে পি নাড্ডার সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে সময় চেয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু সেই মিটিং হচ্ছে আজ। কিন্তু কেন? কী অ্যাজেন্ডা? 

গত সপ্তাহে রাজ্য বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। কিন্তু তাঁর সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না দিলীপ ঘোষ। যা নিয়ে বিভেদের জল্পনা জোরালো হয়। প্রশ্ন ওঠে, এরপর দিলীপ ঘোষ কী করবেন? কিন্তু তারপর  পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির এখনও অবধি সবচেয়ে সফল সভাপতি নিজে গিয়ে নতুন রাজ্য় সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারপর আশা করা গিয়েছিল, মোদির সভায় এবার দিলীপ ঘোষকে দেখা যাবে। কিন্তু তা হল না। দিলীপ নিজেই জানান, দল সম্ভবত তাঁকে ওই সভায় চায়নি। 

সাম্প্রতিক অতীতে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে ঘিরে একের পর এক বিতর্ক দেখা দিয়েছে। জল্পনা তৈরি হয়, দিলীপ ঘোষ দল ছাড়তে পারেন বলেও। তবে পরে দল ছাড়ছেন না বলেই জানান তিনি। এবার দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় তাঁর থাকা , না-থাকা নিয়েও আলোচনা হয় বিস্তর। কিন্তু শেষমেষ জানা যায়, মোদির সভায় থাকবেন না তিনি। দিলীপ নিজেই জানান, পার্টি হয়ত চায় না তিনি সেখানে থাকুন, তাই দলের অস্বস্তি বাড়াতে সভায় যাবেন না। এই বলেই শুক্রবার এয়ারপোর্টে ঢুকে যান দিলীপ ঘোষ।

এরপরই খবর পাওয়া যায়, এদিনই দিলীপ ঘোষের সঙ্গে জে পি নাড্ডার বৈঠকে বসতে পারেন। এই বৈঠককে গুরুত্ব দিচ্ছে রাজনৈতিক মহল। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যর দাবি, দিলীপ ঘোষ বিজেপিতে ছিলেন এবং সক্রিয়ভাবে থাকবেন।  বছর ঘুরলে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোট। তার আগে কি রাজ্য বিজেপিকে একজোট হয়ে মাঠে নামতে দেখা যাবে? আবার কি দিলীপ ঘোষকে বঙ্গ বিজেপির কাছাকাছি আসতে দেখা যাবে? আবার কি প্রমাণ হবে, ' দিলীপ ঘোষের দাম আছে, দিলীপ ঘোষের দাম থাকবে'? বলবে সময়।