কলকাতা: 'ভোটে হারের (By Poll) পাশাপাশি, সাংগঠনিক রদবদলে দলীয় কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছে। তাই হতাশার বহিঃপ্রকাশ'। জেলায় জেলায় বিজেপির বিদ্রোহ প্রসঙ্গে মন্তব্য দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)।
সদ্য হওয়া দুটো উপনির্বাচনেই ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। আর তারপর থেকেই বিজেপিতে (BJP) ছড়াচ্ছে বিদ্রোহের আগুন। মুর্শিদাবাদ (Murshidbad), নদিয়া (Nadia), জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) থেকে আসানসোল (Asansol)। কোথাও দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন বিধায়ক ও নেতারা। কোথাও আবার বিজেপি নেতা ফেসবুকে নেতৃত্বকে তুলোধনা করছেন।
উপনির্বাচনে (By Poll) ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির (BJP)। তারপরই, জেলায় জেলায় বিদ্রোহের আগুন। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া থেকে, জলপাইগুড়ি, আসানসোল, প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। রবিবার সন্ধেয় ধুন্ধুমারকাণ্ড বেঁধে যায় বিজেপির আসানসোল জেলা কার্যালয়ে। জেলা সভাপতিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা-কর্মীরা।
এদিকে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে রাজ্য সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ। পদত্যাগ করেছেন রাজ্য কর্মসমিতির দুই সদস্য বাণী গঙ্গোপাধ্যায় ও দীপঙ্কর চৌধুরী। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র।
বিজেপি নেতা ও রাজ্য কর্মসমিতির পদত্যাগী সদস্য দীপঙ্কর চৌধুরীর কথায়, অরূপ রায়ের সঙ্গে তৃণমূলের সেটিং রয়েছে। এই রকম লোককে কীভাবে পৌর মণ্ডলের সভাপতি করা হল? দ্বন্দ্বের একই ছবি নবাবের পাশের জেলা নদিয়াতেও।
দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে চিঠি দিয়েছেন বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার ১০ পদাধিকারী। পদত্যাগ করেছেন বিজেপির রাজ্য দফতরের লাইব্রেরির দায়িত্বে থাকা প্রাক্তন রাজ্য সহ সভাপতি দেবাশিস মিত্র।
ক্ষোভের সুর শোনা গেল জলপাইগুড়ির বিজেপির প্রাক্তন সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তীর গলায়। বিজেপির মধ্যে বিদ্রোহের আবহে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে তৃণমূল।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কথায়, রাজ্য বিজেপিতে মুষল পর্ব চলছে। আসলে ওদের মানুষের সাথে কোনও সম্পর্ক নেই৷ বালিগঞ্জে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। বিজেপি দেশের মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত। পচা, গলা, দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর কথায়, বিজেপি- তৃণমূল একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। বিজেপির কিছু নেতা তৃণমূলে যোগদান করার জন্য ওয়ার্ম আপ করছে। আগামীদিনে তৃণমূলে যোগদান করার জন্য দর বাড়াচ্ছে।
উপনির্বাচনে ভরাডুবি, বিজেপিতে ‘বিদ্রোহ’!কীভাবে সামলাবে বিজেপি নেতৃত্ব? দ্বন্দ্ব-বিদ্রোহ কাটিয়ে কীভাবে বাংলায় ঘুরে দাঁড়াবে বিজেপি? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।
অন্যদিকে সৌগত রায়ের বাড়ির সামনে সিন্ডিকেট তাণ্ডব নিয়েও তৃণমূলকে নিশানা করেছেন দিলীপ ঘোষ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের কর্মীদের কিছু মন্তব্য বা বিবৃতি নিয়ে ওঁরা চিন্তিত।অথচ তৃণমূল নেতাদের বাড়ির সামনে ইট পড়ছে, বোমা পড়ছে।পুরনো নেতারা হতাশ। এমনকি খুনোখুনিও হচ্ছে। যা বিজেপিতে হবে না।