কলকাতা: 'কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindra Nath Tagore) সঙ্গে কোনও আপস মেনে নেওয়া যায় না'। শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan) ফলক বিতর্কে এবার বিশ্বভারতীর (Viswa Bharati) উপাচার্যর সমালোচনায় রাজ্যপাল। শান্তিনিকেতনের ফলক ইস্যু নিয়ে ক্রমশ সপ্তমে চড়ছে সুর। এ দিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য়পাল (CV Ananda Bose ) বলেন, 'যাঁরাই জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছেন, প্রত্যেকের কাছে গুরুদেব এক আবেগ। কোনও অবস্থাতেই গুরুদেবকে অবজ্ঞা মেনে নেওয়া যায় না'। শান্তিনিকেতনে ফলক ইস্যুতে অব্যাহত চাপানউতোর। এনিয়ে কখনও সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কখনও আবার পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধীরা। এবার এ নিয়ে কথা বললেন রাজ্যপালও ।
মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি: বিশ্বভারতীর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ফলকে নেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindra Nath Tagore) নাম। গত শুক্রবারের সকালের মধ্যে ফলক পরিবর্তন না হলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই নিয়েও শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক তরজা। পরের দিনই মুখ্যমন্ত্রীর কথা মতো, প্রতিবাদে পথে নামে তৃণমূল। দফায় দফায় বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। এর পরে ফের স্যোশাল মিডিয়াতেও সুর চড়ান তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, বিশ্বভারতীর বর্তমান প্রধান ফলকে নিজের ক্ষুদ্র নাম খোদাইয়ে মরিয়া। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আক্রমণের জবাবে মন্তব্য় তৃণমূল নেত্রীা মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের। ফলককাণ্ডে সোশাল মিডিয়া পোস্টে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। এদিকে, তৃণমূলের অবস্থানে যোগ দিলেন বিশ্বভারতীর অধ্যাপক, আশ্রমিক ও প্রাক্তনীরা।
উপাচার্যকে বোলপুর-বীরভূম ছাড়া করার হুমকি: বিশ্বভারতীর নাম-ফলক বিতর্কে গতকাল উপাচার্যকে বাড়ি টেনে বের করে আনার হুঁশিয়ারি দিলেন নানুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক গদাধর হাজরা। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিলে আপনাকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে বোলপুর-বীরভূম ছাড়া করতে বেশি সময় লাগবে না। আর এসব ফলকও থাকবে না। আপনি থাকবেন আমাদের পায়ের নীচে। বিশ্বভারতীর সামনে ধর্নামঞ্চ থেকে গতকাল উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর উদ্দেশ্যে এই মন্তব্য করেন জেলা-রাজনীতিতে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত গদাধর হাজরা। এ নিয়ে মন্তব্য করতে চায়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তৃণমূল এবং বিজেপির প্রতিক্রিয়াও এখনও মেলেনি।