কলকাতা: রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটির (State Coordination Committtee Rally) মিছিল আটকাতে গিয়ে ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেল রাজ্য। সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court Division Bench), রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটির মিছিলে অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের। তবে শর্তসাপেক্ষে সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। 'এক লাইনে মিছিল করতে হবে। মিছিল শেষে কেবলমাত্র একজন বক্তৃতা রাখতে পারবেন', নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। সঙ্গে সংযোজন, 'শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে হবে। মিছিল যেন কোথাও দাঁড়িয়ে না যায়'। আজ দুপুর ১টায় হাওড়া রেল মিউজিয়াম থেকে মিছিল শুরু হওয়ার কথা, শেষ হবে নবান্ন বাসস্ট্যান্ডে। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, 'মিষ্টি দই, আলুপোস্ত, লুচি বাংলার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। মিছিল-মিটিংও তাই। এখানে সকলে জন্মগত যোদ্ধা', মন্তব্য প্রধান বিচারপতির। 


বিশদ...
দিনদুয়েক আগেই কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের দেওয়া অনুমতির বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। কিন্তু সেই সময়ে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির কোনও আইনজীবী না থাকায় শুনানি পিছিয়ে যায়। আজ  সেই মামলার শুনানি ছিল। এর আগে, কো-অর্ডিনেশন কমিটিকে মিছিলের অনুমতি দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। হাওড়া রেল মিউজিয়াম থেকে নবান্ন বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিলে অনুমতি দেওয়া হয়। বলা হয়েছিল, সর্বাধিক দেড় হাজার লোক নিয়ে মিছিল করা যাবে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। ডিভিশন বেঞ্চে হাইকোর্টের সওয়াল ছিল, 'রুট নিয়ে সমস্যা আছে, ওই এলাকায় স্কুল-কলেজ-অফিস আছে। ট্র্যাফিক নিয়ে সমস্যা হবে, যানজট হবে। নবান্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা থাকে। আমরা মিছিলের বিরোধিতা করছি না, রুট বদল করতে বলছি।' এদিন অবশ্য সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখল হাইকোর্ট, তবে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেওয়া হল মিছিলে। 


ডিএ-র দাবিতে মিছিল...
গত মে মাসে ডিএ-র দাবিতে নবান্ন অভিযানে অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সে বারও কোঅর্ডিনেশন কমিটির আবেদনে সাড়া দিয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানান, দুপুর ২.৩০ থেকে ৪.৩০-এর মধ্যে মিছিল করতে হবে। হাওড়া ফেরিঘাট, বঙ্কিম সেতু, মহাত্মা গাঁধী রোড হয়ে হাওড়া ময়দানে শেষ হবে মিছিল, জানান বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। গত ৪মে নবান্ন অভিযানের অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কো-অর্ডিনেশন কমিটি সহ কয়েকটি সংগঠন। সেই মামলাতেই এদিন এই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।  


আরও পড়ুন:'আমার থেকে বড় গুন্ডা কেউ নেই', কেন এমন বিস্ফোরক মন্তব্য দিলীপের?