সুুনীত হালদার, ডোমজুড়: প্রকাশ্যে দশ লক্ষ্য টাকা ছিনতায়ের ঘটনায় যুক্ত দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল ডোমজুড় থানা এলাকায়। ধৃতদের থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৬ টাকা ও ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মোটরবাইক। পুলিশ টিপার গুলাম মুস্তাফা ও বাইক চালক মহ মুনতাজ নামে অভিযুক্ত দুজনকে পাঁশকুড়া থেকে গ্রেফতার করে। তবে আরও একজন অভিযুক্ত এখনো ফেরার। গতকাল দুপুরে হাওড়া আমতা রোডের বাঁকরা এলাকায় প্রকাশ্যে ১০ লক্ষ টাকা ছিনতাই করে দুষ্কৃতীরা। একটি মদের দোকানের কর্মচারী টাকা ব্যাঙ্কে জমা দিতে যাবার সময় ছিনতাই হয়। বরুণ প্রামানিক নামে ওই কর্মচারীর চোখে লঙ্কা গুঁড়ো ছিটিয়ে ও মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে ১০ লক্ষ টাকা ছিনতাই করে বাইকে চেপে পালায় দুষ্কৃতীরা। ছিনতাইয়ের ঘটনা সিসিটিভি ক্যামেরা বন্দি হয়। সেই সিসিটিভি সূত্র ধরেই দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে পুলিশ। ধৃতদের আজ হাওড়া আদালতে পেশ করে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করা হয়। এদের হেফাজতে নিয়ে বাকি চার লক্ষ টাকা উদ্ধার ও আরও এক ছিনতাইবাজকে গ্রেফতার করা যাবে বলে অনুমান ডোমজুর থানার পুলিশের।
গতকালের পর ফের চোখে লঙ্কা গুঁড়ো ছিটিয়ে ব্যবসায়ীর থেকে লুট ৮০ হাজার টাকা। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে ডোমজুড়ের পাকুরিয়া ব্রিজের কাছে। বীরেন্দর সাউ নামে ওই ভুষির ব্যবসায়ী জানান রাত পৌনে আটটা নাগাদ সে যখন দোকান বন্ধ করে বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন সেই সময় রাস্তায় ২ থেকে ৩ জন যুবক তাকে ঘিরে ধরে। এরপর চোখে লঙ্কা গুঁড়ো ছিটিয়ে তাকে লাথি মেরে রাস্তায় ফেলে দেয়। তার হাতের ব্যাগে ৮০ হাজার টাকা ছিল তা লুট করে নেয়। এরপর ওই ব্যবসায়ীর মোবাইল এবং বাইক ছিনতাই করে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে চম্পট দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই ব্যবসায়ীকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে বাকরার এক বেসরকারি নার্সিং হোমে নিয়ে যায়। সেখানেই সে চিকিৎসাধীন।