বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: বইমেলার জন্য় ব্য়বসায়ীর কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন তৃণমূল নেতা। না দেওয়ায় ব্য়বসায়ীকে মার, অকথ্য় ভাষায় গালিগালাজ এমনকী আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি! কাঠগড়ায়, খড়গপুর টাউনের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস চৌধুরী ওরফে মুনমুন। অভিযোগকারী ব্য়বসায়ীর দাবি, বিভিন্ন কারণে তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন দেবাশিস।

সম্প্রতি খড়গপুরে বইমেলার জন্য় তাঁর কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। টাকা না দেওয়ায় ৩ তারিখ পুরসভায় গেলে তাঁকে মারধর, গালিগালাজের অভিযোগ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের কাছে অভিযোগপত্র পাঠিয়েছেন ব্য়বসায়ী। অভিযোগ জানানো হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে। এফআইআর করা হয়েছে খড়গপুর টাউন থানায়। অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেওয়ারও অভিযোগ করেছেন ব্য়বসায়ী। প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি দেবাশিস চৌধুরীর। 

বইমেলার জন্য় ব্য়বসায়ীর কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন তৃণমূল নেতা। না দেওয়ায় ব্য়বসায়ীকে মার, অকথ্য় গালিগালাজ, এমনকী আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায়, খড়গপুর টাউনের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস চৌধুরী। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা। 

আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে পরিবারসহ প্রাণে মেরে ফেলা। ও এলাকায় ব্যবসা না করতে দেওয়ার হুমকি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ফের চাঁদার জুলুমের অভিযোগ! পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে অভিযোগ করেছেন এক ব্য়বসায়ী। কাঠগড়ায়, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখপাত্র ও খড়গপুর পুরসভার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর দেবাশিস চৌধুরী ওরফে মুনমুন। অভিযুক্তের স্ত্রী বর্তমানে তৃণমূলের কাউন্সিলর। 

অভিযোগকারী ব্য়বসায়ীর দাবি, বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন সময়ে তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তৃণমূলের ওই নেতা। সম্প্রতি বাড়িতে এসে খড়গপুরে বইমেলার জন্য় ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন দেবাশিস। দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন ব্যবসায়ী। এরই মধ্যে ৩ তারিখ পুরসভায় গিয়েছিলেন ব্যবসায়ী। অভিযোগ, তখনই তাঁকে মারধর, গালিগালাজ করেন ওই তৃণমূল নেতা দেবাশিস চৌধুরী।

অভিযোগকারী ব্যবসায়ী অজয় বাকলি বলছেন,ব৩ তারিখ আমাকে খড়গপুর পৌরসভায় তৃণমূলের কাউন্সিলর প্রবীর ঘোষ ডাকেন। পৌরসভার টুর্নামেন্ট রয়েছে সেই ব্যাপারে আমার সাথে আলোচনা করার জন্য ডাকা হয়েছে। তারপর আমি যখন বেরোতে যাচ্ছি, তখন তৃণমূলের দেবাশীষ চৌধুরী (মুনমুন) নামে একজন। আমাকে গালাগালি দেয়, মারধোর করে। এবং আমার পরিবারসহ আমাকে প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দেয়। ব্যবসা করতে দেবে না বলেন।

ব্যবসায়ীর দাবি, ঘটনার কথা জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি, FIR করেছেন খড়গপুর টাউন থানায়। ব্যবসায়ীর দাবি, অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে প্রাণনাশের হুমকি।

অজয় বাকলির কথায়, দু'জন রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে বনধুক ঠেকিয়ে হুমকি দেয় মুনমুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠিয়ে না নিলে প্রাণে মেরে ফেলবো। তারপর আমার পাম্পে এসে একটি চিঠি ফেলে দিয়ে যায় তাতে লাল কালিতে লেখা রয়েছে কেস উঠিয়ে নিতে। এবং প্রাণনাসের হুমকি। স্বাভাবিকভাবে আতঙ্কে আছি।

যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপপানউতোর। মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি মুখপাত্র অরূপ দাসের কথায়, তৃণমূল কংগ্রেস দলটাই চলে মাফিয়া, দুষ্কৃতি আর তোলাবাজ নেতাদের নিয়ে। এই দলটাকে কন্ট্রোল করছে মাফিয়ারা। আর তারা এই দলটার নেতা। পুলিশের উচিত অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া। তিনি যত বড়ই নেতা হোক না কেন ওর বিরুদ্ধে যদি স্পেসিফিক অভিযোগ হয়ে থাকে। উনাকে গ্রেফতার করা উচিত।

পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান। খড়গপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৈমুর আলি খানের কথায়, পৌরসভার কথা বলেছে। কিন্তু এটা আমার নলেজের বাইরে। আমি এই সম্বন্ধে কিছুই জানিনা। আমি সেদিন ছিলাম না, তাই জানিনা। এই ব্যাপারটা আমরা তদন্ত করে দেখব। তারপর যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেব। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত ব্যবসায়ী ও তাঁর পরিবার। পুলিশ সূত্রে খবর, ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে শুরু হয়েছে।