শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা: সীমান্ত সুরক্ষায় অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় প্রত্যন্ত এলাকায় ওষুধ ও খাবার পৌঁছে দিতে ড্রোনের (Drone) উপযোগিতা অনস্বীকার্য। সেই ড্রোন ব্যবহার করা হয় বাড়ি বাড়ি দৈনন্দিন জিনিস পৌঁছে দেওয়ার কাজেও। এবার কলকাতাতেও দেখা যেতে পারে সেই ছবি। ডেলিভারি হবে ড্রোনের সাহায্যে। নিত্য় প্রয়োজনীয় সামগ্রী বাড়ি বা আবাসনের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবে ড্রোন।
ড্রোনের ব্যবহার বহু:
সীমান্তে নজরদারি হোক কিংবা কোনও হাইভোল্টেজ সভা বা মিছিলের নিরাপত্তা। ডেঙ্গি মশার লার্ভার খোঁজ হোক অথবা বার্ড আই ভিউ অ্য়াঙ্গেলে ছবি তোলা, সবক্ষেত্রেই ড্রোনের গুরুত্ব অপরিসীম। এবার কলকাতায় সেই ড্রোনকেই দেখা যাবে একেবারে অভিনব ভূমিকায়। বাড়ি বাড়ি নিত্য় প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেবে।
গুরগাঁওয়ে এই ব্যবস্থা আগেই হয়েছে। এবার নিউটাউনেও (Newtown) মিলবে এই সুবিধা। সংস্থার দাবি, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরই নিউটাউনের আবাসনে শুরু হবে ড্রোনের মাধ্য়মে ডেলিভারি। ক্য়ামেরা -বিহীন ড্রোনের সাহায্য়ে আবাসনের নির্দিষ্ট জায়গায় আবাসিকদের কাছে পৌঁছে যাবে প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
হিডকোর (HIDCO) চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন বলেন, 'ড্রোন আগামীদিনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে। তবে বিভিন্ন দিক দেখে তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে?'
কীভাবে হবে গোটা প্রক্রিয়াটা? সংস্থা সূত্রে খবর, আবাসনের ছাদে বা বাগানে একটি ড্রোন ড্রপিং পয়েন্ট তৈরি করা হবে। সেখানেই মালপত্র বহন করে এনে রাখবে উড়ন্ত মেশিন। সেই সামগ্রী কালেক্ট করে বাড়ি বা ফ্ল্য়াটে পৌঁছে দেবেন সংস্থার কর্মী। সংস্থা সূত্রে দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার, NKDA, স্থানীয় থানা সব তরফেই সবুজ সংকেত পাওয়া গিয়েছে। ফলে ড্রোনের মাধ্য়মে ডেলিভারি এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
সম্প্রতি গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমানঘাঁটিতে (Hindon Air Base) আয়োজিত হয়েছে ভারত ড্রোন শক্তি ২০২৩ (Bharat Drone Shakti 2023)। সেখানেও ড্রোনের নানা কার্যকারিতা দেখানো হয়েছিল। প্রদর্শনীতে বিশেষ মোটরবাইকও রাখা হয়েছিল। ANI-এর রিপোর্ট অনুযায়ী বিশেষ কমপ্যাক্ট ড্রোন সিস্টেম এই মোটরবাইক করে নিয়ে যাওয়া যাবে। unassembled drones-ওই মোটরবাইকের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া যাবে। প্রান্তিক এলাকায় সহজে প্রযুক্তি নিয়ে যাওয়ার জন্য় ব্য়বহার করা যাবে এটি। ANI একটি ট্যুইটে জানানো হয়েছে, 'বিশেষ মোটরবাইক তৈরি করা হয়েছে unassembled drones বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। মোটরবাইকের মাধ্যমে কিসান ড্রোন গ্রামীন এলাকায় নিয়ে যাওয়া যাবে, আধুনিক কৃষিব্যবস্থা প্রান্তিক এলাকায় পৌঁছনোর জন্য এটি কাজে লাগবে।