কলকাতা: শহরে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস (Adenoviruses)। গত দুই মাসে ৪৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বিসি রায় হাসপাতালে (BC Roy Hospital) অ্যাডিনো আক্রান্ত আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে একদিনে বিসি রায় হাসপাতালে অ্যাডিনো আক্রান্ত হয়ে তিন শিশুর মৃত্যু হল। জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে ভর্তি, আজ বিসি রায় হাসপাতালে ক্যানিংয়ের শিশুর মৃত্যু। গতকাল রাত থেকে কলকাতার দু'টি সরকারি হাসপাতালে  পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।  রাজ্যের অন্য হাসপাতালেও শিশু মৃত্যুর খবর মিলেছে (Child Deaths)।


গতকাল রাত থেকে কলকাতার দু'টি সরকারি হাসপাতালে  পাঁচ শিশুর মৃত্যু


চলতি বছরে ১ মার্চ পর্যন্ত কলকাতা (Kolkata News) ও বর্ধমানে ৪২ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতালে হাসপাতালে ফিভার ক্লিনিকের সামনে উপচে পড়ছে ভিড়। জেলা থেকে রেফারেল রোগী আসা নিয়ে উদ্বিগ্ন বি সি রায় শিশু হাসপাতালে সুপার। এদিন বি সি রায় হাসপাতালে যান স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য। কো-মর্বিডিটিতে শিশু মৃত্যু বাড়ছে বলে দাবি করেন স্বাস্থ্য সচিব। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বি সি রায় শিশু হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ারে ২২টি এবং জেনারেলে ৭০টি বেড বাড়ানোর ঘোষণা স্বাস্থ্য সচিবের। 


অ্যাডিনো আতঙ্ক বাঁকুড়াতেও। সেখানকার মেডিক্যাল কলেজে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার ৪ বছরের শিশুর জ্বর,  শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায়, প্রথমে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি বি সি রায় হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পর ভেন্টিলেশনে রাখা হয় শিশুকে। সেখান থেকে বের করার পর, আজ ভোর ৪টে ৫৫ মিনিটে ওই শিশুর মৃত্যু হয়। নিউমোনিয়ার জেরে মৃত্যু বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 


আরও পড়ুন: SSC Case: রাত থেকে তল্লাশি, SSC-র প্রাক্তন উপদেষ্টার ফ্ল্যাটেও যকের ধন! উদ্ধার সোনা-টাকা


অন্যদিকে, রবিবার বারাসাত হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেন বারাসাত পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নবপল্লির বাসিন্দা এক মহিলা। জন্মের পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে সদ্যোজাত। ওইদিনই ফুলবাগানের বি সি রায় হাসপাতালে এনে ভেন্টিলেশনে রাখা হয় নবজাতককে। আজ সকালে তার মৃত্যু হয়। 


কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। চুঁচুড়ার হামিদপুরের সাত মাসের শিশুর জ্বর, শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায় ১৯ ফেব্রুয়ারি, চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয়। আজ ভোরে মৃত্যু হয় একরত্তির। ওই শিশুর জন্মগত হার্টের সমস্যা ছিল। শরীরে অ্য়াডিনো ভাইরাস মেলে। হাসপাতালের দাবি, অ্যাডিনোর জেরে নিউমোনিয়া সংক্রমণ মিটলেও, হার্টের সমস্যার কারণেই ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।


অ্যাডিনো আতঙ্ক বাঁকুড়াতেও


কলকাতা মেডিক্যালে মৃত দ্বিতীয় শিশুর বয়স ২২ দিন। হাওড়ার বাগনানের বাসিন্দা। জ্বর-শ্বাসকষ্ট থাকায়, ১৬ ফেব্রুয়ারি উলুবেড়িয়া হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয়। অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণ মেলে। গতকাল রাতে ওই শিশুর মৃত্যু হয়।