সুনীত হালদার, হাওড়া: শুরু  হয়ে গিয়েছে শারদোত্সবের (Durga Puja 2021) সলতে পাকানো।  দুর্গা পুজো আসতে আর মাত্র ৪০ দিন বাকি। অন্য বছর হাওড়ার (Howrah) উদয়নারায়নপুরে  তাঁত শিল্পীদের এই সময়ে কার্যত নাওয়া-খাওয়ার সময় থাকে না। কিন্তু এবার, ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সব কিছুই ওলট-পালট করে দিয়েছে। বন্ধ তাঁত ঘর। পুজোর মুখে তাঁত শিল্পীরা গভীর সঙ্কটে। আপাতত সরকারি সাহায্য দিকেই তাকিয়ে আছেন তাঁরা।


এবছর বর্ষায় ডিভিসি (DVC) থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়ার ফলে প্লাবিত হয়  উদয়নারায়ণপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। গজা, হরালি, কুরচি শিবপুর, সিংটি সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে কৃষি জমির পাশাপাশি তাঁত ঘর বন্যার জলে তলিয়ে যায়।  তাঁত ঘর গুলিতে প্রায় এক-মানুষ- জল সমান জল জমে যাওয়ার ফলে সুতো মাকু সহ বিভিন্ন কাঁচামালের পাশাপাশি নষ্ট হয়ে গেছে তাঁত বোনার মেশিন।  ফলে শিল্পীরা বাধ্য হয়ে কাজ বন্ধ রাখেন অনেকদিন।


দুর্গাপুজোর সময়েই শিখর ছুঁতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ, আগেভাগে সতর্ক পুজো উদ্যোক্তারা


এখন বন্যার জল নেমে গেলেও কাজ শুরু করা যায়নি। ফলে সমস্যায় পড়েছেন ওইসব এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার। ফি-বছর দুর্গা পুজোর আগে তাঁতের শাড়ি, জামা, পাঞ্জাবির কাপড়, গামছা এবং ধুতির চাহিদা থাকে। এখান থেকে হাওড়ার মঙ্গলাহাট, কলকাতার বিভিন্ন হাট এবং তারকেশ্বরের হাটে শাড়ি-ধুতি সরবরাহ হয়। শিল্পীদের আয় তাতে মন্দ হয় না। কিন্তু এবারে বন্যা পরিস্থিতির  পর তাঁত-ঘর বন্ধ থাকায় কার্যত পথে বসেছেন শিল্পীরা।
বুঝে উঠতে পারছেন না, কীভাবে এই ক্ষতি সামাল দেবেন।

উদয়নারায়নপুরের  বিধায়ক সমীর পাঁজা স্বীকার করেন, বন্যার ফলে তাঁত শিল্পীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি আরও  বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই তালিকা জেলাশাসকের  মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। পুজোর আগে যাতে তাদের আর্থিক প্যাকেজ দিয়ে ফের তাঁত বোনার কাজ শুরু করা যায় সে ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।