কৌশিক গাঁতাইত, আসানসোল: গোটা বাংলাজুড়ে আজ মহালয়ার আমেজ। আজ পিতৃপক্ষের অবসান। বহু বাঙালি পিতৃপুরুষের উদ্দেশে তর্পণ করেন আজকের দিনে। 


গোটা বাংলায় যখন মহালয়ার আবেশ ঠিক তখনই পুরো পুজো শেষ হয়ে যায় আসানসোলের হীরাপুর থানার ধেনুয়া গ্রামে। এখানের মন্দিরে মহালয়ার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত চলে পুজো। একদিনেই শেষ হয় সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমীর পুজো। 


এই গ্রামে দেবী পূজিতা হন মহামায়া রূপে। মায়ের সঙ্গে থাকেন না লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক বা গনেশ। স্বভাবতই থাকে না তাঁদের বাহনরাও। মায়ের পায়ের কাছে থাকে না অসুরও। চেনা ছকের পরিবর্তে এখানে মা আসেন তাঁর দুই সখী জয়া ও বিজয়ার সঙ্গে। 


আরও পড়ুন: Durga Puja Preparation: খিদিরপুর ২৫ পল্লির মণ্ডপে এবার 'বহন'-এর বহমানতার ছবি


প্রায় ষাট বছর আগে স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন কালীকৃষ্ণ সাধক। তিনিই প্রথম এই পুজোর সূচনা করেন। তখন থেকেই শুধু শিল্পাঞ্চলেই নয়, বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে এই পুজো। প্রত্যেক বছর এই দিনটিতে প্রায় হাজার খানেক মানুষের ভিড় হয় পুজোয়। 


কিন্তু করোনা আবহে গত বছরের মতো এবারও বেশ খানিকটা সীমাবদ্ধতা রাখা হয়েছে। একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। 


আজ এখানে পুজো দেখতে আসেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি জানান এই বিশেষ পুজোকে সামনে রেখে এই স্থানটিকে অনায়াসেই পর্যটন কেন্দ্র রূপে গড়ে তোলা যায়। এই ব্যাপারে তিনি নজর দেবেন এবং তিনি সচেষ্ট হবেন বলেও জানিয়েছেন। 


আরও পড়ুন: Mahalaya 2021: মহালয়ার 'তর্পণ মাহাত্ম্য' , যে কোনও জলাশয়ে তর্পণ করার রীতি আছে, জানাচ্ছেন শাস্ত্রবিশেষজ্ঞরা


আরও পড়ুন: Durga Puja 2021 : মহিষাসুরমর্দিনী নন, বড়শুলের 'দে' বাড়িতে পুজিত হরগৌরীর মূর্তি, এ বাড়ির প্রতি ইটে কথা বলে ইতিহাস