সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা : ঢাকের বোলে উমা-বিদায়ের সুর। সেই মন খারাপের মধ্যেই বিজয়ার (Bijaya Dashami) শুভেচ্ছা বিনিময়, প্রণাম, কোলাকুলি, একে অন্যকে মিষ্টিমুখ করানোর পালা। শহরের বিভিন্ন দোকানে মিষ্টি (Sweets) কেনার ধুম।


আসছে বছর আবার হবে


বাপের বাড়ি থেকে আবার কৈলাসে পাড়ি উমার। ঢাকের বোলে বিসর্জনের সুর। আরও একটা বছরের প্রতীক্ষা। প্রতিমা নিরঞ্জনের পরেই শুরু হয় বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়। সঙ্গে কোলাকুলি, মিষ্টিমুখ মাস্ট। রকমারি মিষ্টিতে যেন উৎসব শেষের কষা স্বাদ ঢেকে নিয়ে নতুন লড়াই শুরুর চেষ্টা।


বেজে গিয়েছে বিসর্জনের বাজনা ৷ ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি থেকে কৈলাসে পাড়ি উমার। আনন্দে উচ্ছ্বাসের মাঝেই মিশেছে বিষণ্ণতার সুর৷ মণ্ডপে মণ্ডপে দেবী-বরণের পাশাপাশি সিঁদুর খেলা। এরপর মা-কে বিদায় জানানোর পালা। সিঁদুর খেলে, মিষ্টিমুখে প্রতিমা নিরঞ্জনের পর কোলাকুলি, শুভেচ্ছা বিনিময়, মিষ্টিমুখ৷ বাঙালির চিরাচরিত রীতি। হাসি মুখে মাকে বিদায় জানিয়ে আরও একটা বছরের অপেক্ষা৷ এখন শুধু দু’চোখ ভরে মাকে দেখে নেওয়া আর ঢাকের তালে মনে মনে বলা, আসছে বছর আবার এসো মা৷


মিষ্টির বাহার


ট্র্যাডিশনাল রসগোল্লা বা কড়া পাকের সন্দেশই হোক আর হাল ফ্যাশনের চকোলেট সন্দেশ হোক। দশমীর সকাল থেকে দোকানে দোকানে তাই মিষ্টি কেনার ভিড়। বেজায় ব্যস্ত মিষ্টির দোকানের কর্মচারীরাও। আনন্দ উচ্ছ্বাসের মাঝেই বিষণ্ণতার সুর। উৎসব শেষ। থেকে যাক মিষ্টিমুখের রেশ।


উৎসবে সামিল সকলে


বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের একটি আবাসনে দেবীবরণ করেন অভিনেত্রী পাওলি দাম। ধুনুচি হাতে পা মেলালেন ঢাকের তালে। হাজরা পার্কের উমা বরণের পর সিঁদুর খেলায় মাতেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সল্টলেকে ইজেডসিসি-র পুজোতে দেবীবরণ, সিঁদুর খেলায় মাতলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। অন্যদিকে, আরামবাগ পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে নিজের পাড়ায় পারুল মিলন মঞ্চ ক্লাবে দেবী বরণ করে সিঁদুর খেলায় সামিল হন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। 


এদিকে, সকালে বেলুড়মঠে মঙ্গলারতির পর দশমী পুজো শুরু হয়। এরপর রীতি মেনে ঘট বিসর্জনের পর দর্পণ বিসর্জনের মাধ্যমে মাকে বিদায় জানানোর পালা। সন্ধেয় মূল মন্দিরে সন্ধ্যারতির পর শুরু হবে নিরঞ্জনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি। শোভাযাত্রা সহকারে মায়ের ঘাটে নিয়ে এসে প্রতিমা নিরঞ্জন হয়।


আরও পড়ুন- দেবীবরণ শেষে সিঁদুরখেলায় মাতলেন কোয়েল, বিসর্জনে নাচ রঞ্জিত মল্লিকের