কলকাতা: দমদমে (Dumdum) আগুনে (Fire) ভস্মীভূত পুজো (Pujo) মণ্ডপ। মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা নাগাদ নেতাজি সংঘ ক্লাবের সদস্যরা জানতে পারেন তাদের মন্ডপে আগুন লেগেছে।                                                                    


দমকলের এক ঘণ্টার চেষ্টায় সম্পূর্ণ আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও, পুড়ে গেছে প্যান্ডেলের কাপড়, কাঠামো। পুজো উদ্যোক্তাদের প্রশ্ন, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকার পরও আগুন লাগল কী করে? দমদম থানার পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। 


এদিকে, পুজোয় দুর্ঘটনা এড়াতে, সতর্ক দমকল দফতর। মণ্ডপে বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে নিরাপত্তায় জোর দিতে বলা হচ্ছে। এদিন দমকলমন্ত্রী জানিয়েছেন, গতবছর ৩৮টি সাময়িক ফায়ার স্টেশন তৈরি করা হয়েছিল। এবার তা বাড়িয়ে ১০০টি করা হবে। ড্রোনের সাহায্যেও চলবে নজরদারি।                                                            


হাতে আর কয়েকটা দিন। তারপরই দুর্গাপুজোর আনন্দে মাতবে বঙ্গবাসী। তার আগে বুধবার দমকল দফতরের উচ্চ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মন্ত্রী সুজিত বসু। তৃণমূল বিধায়ক ও দমকলমন্ত্রী বলেন, 'ইন্সপেকশন চলবে।পুজোর কার্নিভাল পর্যন্ত ভাল ব্যবস্থা থাকবে।সতর্ক থাকবো।টেম্পোরারি ফায়ার স্টেশন যাতে যাতে লোকাল থানার সাথে যোগাযোগ থাকে। বাজি বাজারেও স্ট্যান্ড বাই গাড়ি থাকবে।' 


এদিন দমকলমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে ৪১ হাজারের বেশি দুর্গাপুজো হয়। তারমধ্যে, ৩১ হাজার ৫৯৭ পুজো ইতিমধ্যেই অনুমতি পেয়েছে। বাকিদেরও দ্রুত অনুমতি নিতে বলেছেন তিনি। পুজোয় দুর্ঘটনা এড়াতে, সতর্ক দমকল দফতর। মণ্ডপে বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে নিরাপত্তায় জোর দিতে বলা হচ্ছে। তৃণমূল বিধায়ক ও দমকলমন্ত্রী বলেন, 'বাঁশ দড়ি কাপড় দিয়ে তৈরি হয় প্যান্ডেল। যে তার ভেতরে ব্যাবহার হয় কোনও ভাল তার থাকে। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে।' 


আরও পড়ুন, আজ তৃতীয়া, নবরাত্রিতে দেবীর চন্দ্রঘণ্টার রূপ, দূরে যায় বাধাবিঘ্ন-পাপ


পাশাপাশি, শ্রীভূমি, চেতলা অগ্রণী, বাগবাজারের মতো বড় পুজোগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি, ড্রোনের সাহায্যেও নজরদারি চলবে বলে জানিয়েছেন দমকলমন্ত্রী। সুজিত বসু জানিয়েছেন, রাজ্যে ১৫৭টি ফায়ার স্টেশন রয়েছে। গতবছর ৩৮টি সাময়িক ফায়ার স্টেশন তৈরি করা হয়েছিল। এবার তা বাড়িয়ে ১০০টি করা হবে।