সন্দীপ সরকার, কলকাতা : শতবর্ষের দোরগোড়ায় ভবানীপুরের মল্লিক বাড়ির দুর্গাপুজো। দশমীতে বাপের বাড়ি ছেড়ে কৈলাসের পথে যাত্রা করবেন মা দুর্গা। বিসর্জনের পুজো শেষ হয়ে গিয়েছে । বেলা গড়াতেই প্রথা মেনে মল্লিক বাড়িতে শুরু হয়েছে সিঁদুর খেলা। একে একে দালানে আসছেন পরিবারের সদস্যরা। দেবী বরণে জমজমাট ভবানীপুরের মল্লিক বাড়ি। পরিবারের সকলের সঙ্গে খুশির মেজাজে রঞ্জিত মল্লিক।
রঞ্জিত মল্লিক জানালেন, এ বাড়িতে পুজো হয় একেবারে বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মেনে। সময় মেনে পুজোর প্রতিটি উপাচার করা হয়। তাই বিসর্জনও নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই। এ বাড়ির প্রতিমা গাড়িতে চেপে নিরঞ্জনে যায় না। বাড়ির ছেলেরাই কাঁধে করে নিয়ে যান দেবীপ্রতিমাকে।
এই বাড়ির সঙ্গে ওতপ্রতভাবে জড়িয়ে নানা স্মৃতি। আর এই একটা সময়ই বাড়ির সব সদস্যরা পুজোর দালানে একত্রিত হন। তাই বিসর্জনের দিন মনটা খারাপ হয়ে যায়। পরিবারের বাকিদের সঙ্গে আবার কবে দেখা হবে ? বছরে এই একটা সময়ই তো সকলের সঙ্গে সকলের সাক্ষাৎ। বিশেষত. বিদেশ থেকে যাঁরা আসেন, তাঁদের সঙ্গে তো দেখা হয়ই না অন্যসময়। তাই বিজয়ার দিন মানেই মনের কোণে বিষাদের মেঘ, জানালেন রঞ্জিত মল্লিক।
নবমীর দিনই এবিপি আনন্দর প্রতিনিধিকে রঞ্জিত মল্লিক জানিয়েছিলেন, 'পুজো তো রয়েইছে। কিন্তু আরও একটা বিষয় রয়েছে, পুজোর সময়েই আমাদের যাঁরা আত্মীয়-স্বজন রয়েছেন বাইরে। তাঁরা সুযোগ পেলেই পুজোয় চলে আসেন। এই সময়েই দেখা-সাক্ষাৎ হয়।'
রঞ্জিত মল্লিক জানালেন, বরণ করেছেন কোয়েলের মা। এরপর দুপুরে আসবেন কোয়েল। সিঁদুর খেলা তো হবেই। রঞ্জিত মল্লিক আরও জানালেন, বিসর্জন করে ফিরে এসে সবাইকে দেওয়া হয় শান্তির জল। আর এটা সকলেই নিতে চান।
বছরভর শ্যুটিং শিডিউলের মধ্যে কোয়েল মল্লিকের বাড়ির পুজো কাটে অন্যরকম ব্যস্ততায়। অভিনেত্রী নন, এই ক'টা দিন কোয়েল মল্লিকের পরিচয় শুধুই ঘরের মেয়ে। তাই তিনি দিনভর মাতেন আড্ডায়। ছেলে কবীরও পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা। এ বছরের মতো পুজো শেষ। তাই দশমীতেও সকলে থাকবেন পরিবারের সঙ্গেই।
অন্যদিকে এদিন বাইপাসের ধারে আরবানা আবাসনে প্রতিমা বরণের পর সিঁদুরখেলায় মাতলেন আবাসিকরা । প্রতিমা বরণ করেন অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের। সঙ্গে ছিলেন রাজ চক্রবর্তী। ছিলেন এই আবাসনের আবাসিক পরিচালক
আরও পড়ুন :
কেন বিজয়া দশমীর দিন রাবণ দহন করা হয়? দেশজুড়ে দশেরা পালনের কী রীতি ?
অরিন্দম শীল।