কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমানের সর্বমিলন সংঘে মণ্ডপে দর্শক প্রবেশ করতে পারলেও উপরে উঠতে পারবে না দর্শনার্থীরা। ২২ ফুট সিড়ি দিয়ে উপরে উঠে প্রতিমা দর্শন করতে হত। প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে মিটিং করার পরই সিদ্ধান্ত নেয় ক্লাব কতৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই ক্লাবের তরফ থেকে মণ্ডপে উঠতে না দেওয়ার কথা জানিয়েছে ক্লাব কতৃপক্ষ।


বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দিতে হল বিশ্বের সবথেকে বড় দুর্গা প্রতিমা


মাতা বৈষ্ণদেবী মন্দির থিম সর্বমিলন সংঘের। ছিল পাহাড়ে উঠে গুহার ভেতর প্রতিমা দর্শনের ব্যবস্থা।কিন্তু সেই পরিকাঠামোকে ফিট সার্টিফিকেট দিল না প্রশাসন। ফলে নীচ থেকে মণ্ডপ দর্শন ও নীচে থাকা প্রতিমা দর্শন করতে পারবে দর্শনার্থীরা। তবে শুধু পূর্ব বর্ধমানই নয়, নদিয়াতেও এমনই ছবি দেখা গিয়েছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে ১১২ ফুটের দুর্গা প্রতিমা। নদিয়ার ধানতলা থানার কামালপুর অভিযান সংঘের পঞ্চান্ন তম বর্ষের পুজো বন্ধ করে দিল ক্লাব কর্তৃপক্ষ। উচ্চ আদালতে মামলা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন জানানো হচ্ছে ক্লাবের তরফে। প্রশাসনিক অসহযোগিতার কারণে বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দিতে হল বিশ্বের সবথেকে বড় দুর্গা প্রতিমা। একই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হল এ বছরের দুর্গা পুজো।


আরও পড়ুন, 'ব্যঙ্গার্থক নানা কথা বলে আন্দোলনের দৃঢ়তা কমানো যাবে না', অনশন মঞ্চের পাশে দাঁড়িয়ে কড়া বার্তা জুনিয়র চিকিৎসকদের


মায়ের পুজোয় দরকার রকমারি খাবার


মায়ের পুজোয় দরকার রকমারি খাবার। কোনওদিন বোয়াল মাছ তো কোনওদিন পান্তা ভাতের সঙ্গে রাইখোর মাছ। বছরের পর বছর ধরে এই নিয়ম মেনেই পুজো হচ্ছে গৌরী পাল পুজো মণ্ডপে। নবমীতে বোয়াল মাছ,দশমীতে পান্তা ভাত, সঙ্গে আত্রেয়ী নদীর রাইখর মাছ। রীতি অনুযায়ী, দুর্গাপুজোর পাঁচদিন এমনই রকমারি খাবারের আয়োজন করা হয় দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের এই ঐতিহ্যবাহী পুজো মণ্ডপে। কথিত আছে, প্রায় ৫০০ বছর আগে পাল পরিবার এই পুজো শুরু করে। তখন এই পুজো পরিচিত ছিল পাল বাড়ির পুজো বলে। তবে, এখন স্থানীয়রা এই পুজোর হাল ধরেছেন। এখন পুজো খ্যাত গৌরী পাল বাড়ির পুজো নামে। পুজোর পাঁচ দিন গম গম করে গৌরী পাল বাড়ির পুজোমণ্ডপ। আশপাশের এলাকা থেকেও বহু মানুষ এখানে আসেন পুজো দেখতে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।