কলকাতা: প্রথম যেদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় গোটা মণ্ডপের ট্রেলার পোস্ট করা হয়েছিল, সেদিন থেকে শুরু হয়েছিল আলোচনা। তারপর একের পর এক বিতর্ক ঘিরে থেকেছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের (Santosh Mitra Square) পুজোকে। কখনও রাজ্য সরকার থেকে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড বন্ধ করে দেওয়ার চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন উদ্যোক্তারা। কখনও কালো কাপড় দিয়ে প্রতিমার মুখ ঢেকে দেওয়া বা অকাল নিরঞ্জনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দিয়ে পুজোর উদ্বোধন করিয়ে আরও হইচই ফেলেছিল সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার। যাদের এবারের বিষয় ভাবনা - পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর ভারতের অপারেশন সিঁদুর।
যাঁরা এখনও পর্যন্ত সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের ঠাকুর বা মণ্ডপ দেখেননি, মহানবমীর রাতে তাঁদের জন্য সুখবর দিলেন সজল ঘোষ। যিনি সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের উদ্যোক্তা হওয়ার পাশাপাশি বিজেপি নেতাও। সজল বলেছেন, 'আমাদের প্রতিমার বিসর্জন আগামী ৪ তারিখ, দ্বাদশীর দিন। একাদশীর রাত অবধি সবটাই দর্শকদের জন্য থাকবে।'
এবারের প্রথম দিন থেকে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার দেখতে জনতার ঢল। বুধবারও ডিসি সেন্ট্রালকে বারবার আসতে হয়েছে পরিস্থিতি দেখতে। যদিও সজলের খোঁচা, 'অকারণ ছোটাছুটি করছেন। চার মাস ধরে তো চেষ্টা করলেন, করে তো অঙ্কের খাতায় জিরো পেলেন। এখন ছোটাছুটি করে... যদি নিজেকে ফিট রাখতে চান আলাদা কথা। কোনও অতিরিক্ত লাভ হবে বলে আমার মনে হয় না।'
উৎসবের শেষ বেলায় মন খারাপের সুর। আজ মহানবমী। শারদোৎসবের শেষ দিন। মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে ঊমার আরাধনা। রাত যত বাড়ছে বাড়ছে ভিড়। উত্তর থেকে দক্ষিণ মহা ধুমধামে মহানবমী। তিথি মেনে হল নবমীর পুজো। বেলুড় মঠেও নবমীর বিশেষ পুজো হচ্ছে। রাত পোহালেই বিষাদের দশমী। ফের এক বছরের অপেক্ষা। তার আগে শেষ মুহূর্তে পুজোর আনন্দ চেটেপুটে উপভোগ করতে সকাল থেকে মণ্ডপে-মণ্ডপে ভিড়।
যেও না নবমী নিশি। রাত পোহালেই বিদায়ের বিজয়া। বৃষ্টির ভ্রুকুটি উড়িয়ে প্রতিমা দর্শনে তুমুল ভিড়। বেলুড় মঠ, নয়াদিল্লির রামকৃষ্ণ মিশনে ধুমধামের সঙ্গে চলছে আরতি।
রক্ষে নেই পুজোর শেষ বেলাতেও। বঙ্গোপসাগরে ফের ঘনীভূত হল নিম্নচাপ! আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৩ দিন বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গে। দশমী-একাদশীতে ভাসতে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ। ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে উপকূল এলাকায় বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। দ্বাদশীর পর আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা।