মোহন প্রসাদ, দার্জিলিং: সামনেই দুর্গাপুজো। আর পুজো মানেই হইহই, আনন্দ আর প্রকৃতির টানে বেরিয়ে পড়া। করোনার নিয়মি-বিধি থাকলেও, ভ্রমণ প্রিয় মানুষের পায়ে বেড়ি পরায় কার সাধ্যি! তাই, করোনার ডবল ডোজ ভ্যাকসিন বা RT-PCR নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে ফের দার্জিলিংমুখী পর্যটকরা। তবে শুধু পাহাড় নয়, পছন্দের তালিকায় থাকছে পাহাড়ি গ্রামও।
পুজোর ছুটি মানেই চলো লেটস গো! ব্যাকপ্যাক নিয়ে বেরিয়ে পড়া পাহাড়, চা-বাগান, নদী, ঝরনার টানে। পর্যকদের পছন্দের তালিকায় বরাবরই ওপরে থাকে দার্জিলিং। তবে, করোনা আবহ, কিছুটা বদলে দিয়েছে সেই তালিকাকে। মূল দার্জিলিং শহরের ভিড় এড়াতে ভ্রমণ পিপাসুরা পাড়ি দিচ্ছেন নির্জন পাহাড়ি গ্রামে। ক্রমশ ডেসটিনেশন হয়ে উঠছে ঘালেটার, ডেয়ারি গাঁও, যোগি ঘাট-সহ শিটং-এর একাধিক অফবিট জায়গা।
এক পর্যটক অঞ্জনা দে মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ঘরে বসে কাঞ্চনজঙ্ঘা। সবটাই সুন্দর। আলাদ করে যাওয়ার দরকার নেই। এত সুন্দর বলেই ছুটে আসা। এই সমস্ত গ্রামগুলি পক্ষীপ্রেমীদের কাছেও হয়ে উঠছে স্বর্গরাজ্য। হিমালয়ের পাখিদের ছবি ক্যামেরাবন্দি করতে ভিড় করছেন ফটোগ্রাফাররা। শিক্ষক ও ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার প্রান্তিক সরকার জানাচ্ছেন, আগেও এসেছি। বার বার আসি। হিমালয়ান পাখি আছে এখানে। আমি ফটোগ্রাফার।
পুজো আসতে এখনও বেশ কিছদিন বাকি। কিন্তু এখনই বুকিং ফুল, জানাচ্ছেন হোম-স্টে মালিকরা। সম্প্রতি ডেয়ারি গাঁও-কে ঘোষণা করা হয়েছে প্লাস্টিকমুক্ত জোন হিসেবে। এই পরিস্তিতিতে প্রকৃতির নির্মল হাতছানিতে পর্যটকদের ভিড় আরও বাড়বে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।
শিটং হোম স্টে-র মালিক সন্ধ্যা আচার্য জানাচ্ছেন, পর্যকটকরা এইসব জায়গা বেশি পছন্দ করছেন। অক্টোবর ফুল বুকিং। এখানকার ডেয়ারি গাঁও প্লাস্টিক মুক্ত জোন ঘোষণা হয়েছে। সবুজ থাকলেই পর্যটক আসবে
শিটং-এর আরও এক হোম স্টে-র মালিক বিক্রম রাই জানিয়েছেন, ৭০-৭৫টা হোম স্টে রয়েছে। বেড়েছে। প্রকৃতি, কাঞ্চনজঙ্ঘা, কমলালেবু ওদিকে মংপুতে রবীন্দ্রনাথের বাড়ি দেখতে লোকে আসছে। দার্জিলিংয়ে বেড়াতে এলে করোনা ভ্যাকিসনের দুটি ডোজের সংশাপত্র অথবা RT-PCR নেগেটিভ রিপোর্ট সঙ্গে থাকতেই হবে। কোভিড বিধি মেনেই পর্যটকদের স্বাগত জানাচ্ছে গ্রামগুলি।