মুম্বই : মাত্র ৪০-এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছেন তিনি। সিদ্ধার্থ শুক্ল (Sidharth Shukla)। তাঁর অগণিত অনুরাগীদের এখনও চোখের জল শুকোয়নি। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির লোকেরাও তাঁকে ভুলতে পারছেন কোথায়! সিদ্ধার্থ শুক্লকে সেই অর্থে পর্দায় শেষবার দেখা গিয়েছে 'ব্রোকেন বাট বিউটিফুল থ্রি' ওয়েব সিরিজ। বিগ বস সিজন ১৩-তে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকেই সিদ্ধার্থ শুক্লর জনপ্রিয়তা ছিল আকাশছোঁওয়া। আর এই ওয়েব সিরিজে দর্শকরা তাঁকে প্রচণ্ড ভালবাসতে শুরু করেন। এখন এই ওয়েব সিরিজের নির্মাতারা যা জানাচ্ছেন, তা শুনলে সিদ্ধার্থ শুক্লার অনুরাগীদের আরও কষ্ট হওয়ার কথা। কারণ, 'ব্রোকেন বাট বিউটিফুল থ্রি' ওয়েব সিরিজের নির্মাতা বলছেন, গত অগাস্টেই তাঁরা চিন্তাভাবনা শুরু করেছিলেন যে এবার তাঁরা 'ব্রোকেন বাট বিউটিফুল' ওয়েব সিরিজে 'ফোর' বানাবেন। কিন্তু, সেপ্টেম্বরের ২ তারিখেই সবকিছু ছেড়ে চলে গেলেন সিদ্ধার্থ শুক্ল।
আরও পড়ুন - Bollywood Update: 'জাতি হুঁ ম্যায়' গানের শুটিংয়ে অদ্ভূত পরিস্থিতিতে পড়ে যান শাহরুখ, কী এমন করেছিলেন কাজল?
ওয়েব সিরিজের অন্যতম নির্মাতা সরিতা তনওয়ার বলেছেন, 'গত অগাস্টেই বালাজির পক্ষ থেকে আমাদের কাছে ফোন এসেছিল। আমরা চাইছিলাম যে এবার ওয়েব সিরিজের চতুর্থ পর্বটা দর্শকদের সামনে নিয়ে আসবো। আর একটা হ্যাপি এন্ডিং হবে। কিন্তু, পরেই বুঝলাম, প্রকৃতির কিছু অন্য পরিকল্পনা রয়েছে। তাই আমাদের পরিকল্পনা ভেস্তে গেল। আমি কল্পনাও করতে পারি না কোনওদিন 'ব্রোকেন বাট বিউটিফুল ফোর' ওয়েব সিরিজ তৈরি হবে, যেটায় কিনা সিদ্ধার্থ শুক্ল নেই! বিষয়টা অনেকটা একটা গল্পের বইয়ের মতো। আপনি হয়তো অর্ধেকটা পড়তে-পড়তে কোনও চরিত্রকে খুব ভালবেসে ফেলেছেন। কিন্তু, তারপর জেনে গেলেন পরের পর্ব থেকে সেই গল্পের বইয়ে আর ওই চরিত্রটা থাকবে না। আপনার আর পাতা উল্টিয়ে পরের পর্ব পড়তে ইচ্ছে করবে? যদিও আমাদের ইন্ডাস্ট্রি অন্যরকম। এখানে হয়তো সত্যিই কারও জন্য কিছু থেমে থাকবে না। দ্য শো মাস্ট গো অন...। তারপরেও এখনই আমি 'ব্রোকেন বাট বিউটিফুল ফোর' ওয়েব সিরিজ নিয়ে কিছু ভাবতেই পারছি না।'
'ব্রোকেন বাট বিউটিফুল' ওয়েব সিরিজের পরিচালক প্রিয়াঙ্কা ঘোষ বলেছেন, 'সিদ্ধার্থ শুক্ল ছিল এক অফুরন্ত প্রাণশক্তির মানুষ। 'ও যখন সেটে থাকতো, ততক্ষণ সকলের সঙ্গে মজা করতো। আর একটা বিষয় ছিল চোখে পড়ার মতো। সিদ্ধার্থ শুক্লার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা ছিল অসাধারণ। এমন অনেক ঘটনাই সেটে ঘটতো, যার সঙ্গে হয়তো সরাসরি সিদ্ধার্থের কোনও যোগাযোগ ছিল না। মানে সিদ্ধার্থ ওই বিষয়ের মধ্যে ছিলই না। তা সত্বেও সিদ্ধার্থ ঠিক জানতো কোথায়-কোথায় কী হয়েছে। কার সঙ্গে কে মজা করেছে বা ঝগড়া করেছে। খুব ইতিবাচক মনোভাবের মানুষ হওয়ার জন্য সিদ্ধার্থের সঙ্গে কাজ করাটাও ছিল সহজ। আর সিদ্ধার্থ তো শুধুই আমার একজন সহকর্মী ছিল না। ও ছিল আমার খুব কাছের বন্ধু। এমন মানুষ আর নেই, না। মন এখনও বিষয়টা মেনে নিতে পারছে না।'