মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: পুলিশ (Police) ও সেনাবাহিনীতে শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষায় কীভাবে নিতে হবে প্রস্তুতি? দুর্গাপুরে (Durgapur) পুলিশের উদ্যোগে দেওয়া প্রশিক্ষণ ঘিরে শুরু হয়েছে তরজা। বিরোধীদের অভিযোগ, পুরভোটের (Municipal Election) আগে বেকারদের বোকা বানাতে চাইছে সরকার। পাল্টা তৃণমূলের জবাব, সবেতেই রাজনীতি দেখে বিরোধীরা।


চলছে শারীরিক মাপজোক। বুঝে নেওয়া হচ্ছে ফিটনেস লেভেল। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর চাকরির মেডিক্যাল পরীক্ষায় কীভাবে উত্তীর্ণ হতে হবে? আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের (Asansol-Durgapur Commissionerate) উদ্যোগে তারই প্রশিক্ষণ দেওয়া হল এমএএমসি টাউনশিপের একটি মাঠে। আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের এসিপি ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায় বলেন, এটা হল স্পেশালি কমিউনিটি পুলিশিং। অল্পবয়সীদের মাপজোক নিয়ে শিক্ষিত করা। মানুষকে সচেতন করতে এটা করা হচ্ছে।


পুলিশের উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণ ঘিরে বেধেছে বিতর্ক। ৬ মাস পর শেষ হচ্ছে, তৃণমূল (TMC) পরিচালিত দুর্গাপুর পুরসভার (Durgapur Municipality) মেয়াদ। ভোটের মুখে বিশেষ শিবিরের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাম-বিজেপি। দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, “দুর্গাপুরের পুরভোটকে সামনে রেখে বেকারদের ধোঁকা, বোকা বানাতে এটা পুলিশকে দিয়ে করাচ্ছে তৃণমূল। এটা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি। বোকা বানাতে করছে।’’


পশ্চিম বর্ধমানের (WestBurdwan) সিপিএম (CPM) জেলা কমিটির সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, “পুলিশ যুবক-যুবতীদের ছাতি মাপছে,আগে ওদের ছাতি মাপা উচিত। তৃণমূলের যে ক্যাডারদের সিভিকে ঢুকিয়েছে তা মাপবে নাকি? এটা স্টান্ট, ভাঁওতা। কোনও সার্টিফিকেটে দিয়েছে।’’


এই নিয়ে পাল্টা বিরোধীদের বিরুদ্ধে রাজনীতির অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল। দুর্গাপুরের তৃণমূল নেতা দেবব্রত সাঁই বলেন, পুলিশ তাদের নিজস্ব পরিকাঠামোর মাধ্যমে বেকারদের ট্রেনিং দেয় যে পুলিশে আসতে গেলে কী কী করতে হয় এর সঙ্গে রাজনীতির কী সম্পর্ক। ওদের ইস্যু নেই তাই এসব বলছে। যাঁদের জন্য ট্রেনিংয়ের আয়োজন, তাঁরা তরজা নয়, চাইছেন কাজ।


আরও পড়ুন: School Close: রাজ্যজুড়ে আপাতত বন্ধ ৮৯টি স্কুল, সিদ্ধান্ত সরকারের