ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে ফের আজ যাদবপুরে 'রাত দখল।' রাজপথে নেমেছে নাগরিক সমাজ। রাত ৮ টা থেকে চিকিৎসক থেকে বহু মানুষ দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। আরজিকর আন্দোলন-এ যারা যুক্ত ছিলেন, তাঁদের অনেককেই এদিন উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে। প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন চিকিৎসক তমোনাশ চৌধুরী।
চিকিৎসক তমোনাশ চৌধুরীবলেছেন, আমরা দেখছি ৯ অগাস্ট ২০২৪ এর পর, তখন সরকার বলেছিল যে, মেয়েরা রাত্রে কাজ করবে না। আর দুর্গাপুরের ঘটনার পর আমরা শুনছি, ....অর্থাৎ সরকারের ভূমিকার কোনও পরিবর্তন হয়নি। তাই আমাদের রাস্তায় নামতে হয়েছে। আমাদের রাজ্যের মেয়েদের সমান অধিকারের জন্য, এই দিন তাঁদের, এই রাত তাঁদের, তাঁরা যখন মনে করবেন, রাস্তায় বেরোবেন। সরকার প্রশাসনের দায়িত্ব, তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার। তাই আমাদের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে হচ্ছে।'
উল্লেখ্য, দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে CBI তদন্ত দাবি করলেন নির্যাতিতার বাবা। তাঁর দাবি, সিবিআই তদন্ত করলে আরও নিরপেক্ষভাবে সব ধরা পড়ে যাবে। একইসঙ্গে পুলিশ প্রথমে তদন্তে সহযোগিতা করেনি বলেও অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতার বাবা। যদিও সেই অভিযোগ মানতে চাননি আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার। সেই সঙ্গে রাজ্য় সরকার ও পুলিশের ওপর সরাসরি অনাস্থা প্রকাশ করেছেন ওই নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা। ক্ষোভ উগরে দিয়ে, তিনি অভিযোগ করেছেন, "থানা তার এলাকা দেখল, আমার মেয়ের দুঃখটা দেখল না।" আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার তাঁদের নিরাপত্তা দিতে চাইলেও, নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, "আগে থেকে যদি আমার মেয়ের নিরাপত্তাটা থাকত, তাহলে আজকে এই দুর্ঘটনা ঘটত না। নির্যাতিতার বাবা বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর আমরা সন্তুষ্ট নই। আমি বাংলার সরকারকে দিদিকে অনুরোধ করছি, এইটা সিবিআই তদন্ত করলে আরও নিরপেক্ষভাবে সব ধরা পড়ে যাবে। ডাক্তার করার স্বপ্ন নিয়ে ওড়িশা থেকে দুর্গাপুরে মেয়েকে পড়তে পাঠিয়েছিলেন!সেই স্বপ্ন আজ দুঃস্বপ্ন! এই পরিস্থিতিতে এবার CBI তদন্তের দাবি জানালেন নির্যাতিতার বাবা। রাজ্য় সরকার ও পুলিশের ওপর সরাসরি অনাস্থা প্রকাশ করলেন। অভিযোগ গ্রহণ করতে পুলিশ শুরুতে টালবাহানা করেছে বলেও বিস্ফোরক দাবি করলেন নির্যাতিতার বাবা।এই পরিস্থিতিতে আর পুলিশি তদন্ত নয়, নির্যাতিতার পরিবারের দাবি সিবিআই-কে দিয়ে তদন্ত করানো হোক।